বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে আম্ফান

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বিকাল ৪টার দিকে উপকূলের বাংলাদেশ অংশে পৌঁছেছে। ভারতের সাগারদ্বীপের পাশ দিয়ে সুন্দরবন ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ভূভাগে উঠে আসে। ওই সময় এর কেন্দ্রের কাছে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝেড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

Amphan

Residents walk along a house on a flooded street heading to a shelter ahead of the expected landfall of cyclone Amphan Source: AFP

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপকূল পেরিয়ে বিশাল এলাকাজুড়ে আম্পান স্থলভাগের দিকে এগিয়ে যেতে থাকবে। তবে একই সঙ্গে বৃষ্টি ঝরিয়ে এর শক্তি ক্ষয় হয়ে যাবে। আম্ফানের একটি অংশ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চল দিয়ে ঢুকে যশোর ও নড়াইল জেলার দিকে আজ রাতেই চলে যাবে।

এই পর্যন্ত এর বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটারের মতো। ভূখণ্ডে আম্ফানের স্থল নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার মধ্য দিয়ে আম্পানের নাম মুছে যাবে। পরে ময়মনসিংহ হয়ে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলে গিয়ে হারিয়ে যাবে স্থল নিম্নচাপটি। এর প্রভাবে কাল বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি হবে। পরদিন শুক্রবার ২২ মে দেখা যাবে ঝলমলে রোদ।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ঊপকূলীয় এলাকাগুলো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়া শুরু করেছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ঝড়ো হাওয়ার প্রভাবে গাছ পড়ে, তার ছিঁড়ে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ঊপকূলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অন্তত ১৭টি সমিতির ১০ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এর বাইরে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বা ওজোপাডিকোর প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
সংযোগ মেরামতের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে বিতরণ সংস্থাগুলো বলছে, ঝড় থেমে গেলে বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে মেরামত করে সংযোগগুলো চালু করার প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।


Share
Published 21 May 2020 5:26am
By Ali Habib
Presented by Abu Arefin

Share this with family and friends