অস্থায়ী প্যারেন্ট ভিসা চালু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়

স্পন্সর্ড প্যারেন্ট (টেম্পোরারি) ভিসা (সাবক্লাস ৮৭০) চালু হয়েছে ১ জুলাই থেকে। এর আগে ১৭ এপ্রিল থেকে এই ভিসার জন্য স্পন্সরশিপের আবেদন গ্রহণ করা শুরু হয়।

Parents Visa

First sponsored parent visa being granted Source: Australian Government

স্পন্সর্ড প্যারেন্ট (টেম্পোরারি) ভিসা (সাবক্লাস ৮৭০) চালু হয়েছে ১ জুলাই থেকে। এর আগে ১৭ এপ্রিল থেকে এই ভিসার জন্য স্পন্সরশিপের আবেদন গ্রহণ করা শুরু হয়।

এই ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনির সঙ্গে সাময়িকভাবে বসবাস করতে পারা যাবে। এই ভিসার সুবিধা হচ্ছে ভিজিটর ভিসার তুলনায় এর মাধ্যমে অনেক বেশি দিন অস্ট্রেলিয়ায় থাকা যাবে। তবে, স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না। ভিজিটর ভিসা এবং পার্মানেন্ট প্যারেন্ট ভিসার আবেদনের সুযোগও রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ।

তবে, এই অস্থায়ী ভিসাটি নিয়ে বিভিন্ন কমিউনিটিতে উদ্বেগ প্রকাশও করেছে লোকজন। কারণ, প্রতিবছর সীমিত সংখ্যক ভিসা-কোটা রাখা হয়েছে এবং এর জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার বিষয়টিও রয়েছে।
এই ভিসার মাধ্যমে প্যারেন্ট বা গ্রান্ড-প্যারেন্টকে স্পন্সর করতে হলে প্রথমে স্পন্সরশিপ এর অনুমোদন পেতে হবে। স্পন্সরশিপ আবেদন করতে পারবেন অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেন, অস্ট্রেলিয়ান পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কিংবা নিউ জিল্যান্ডের উপযুক্ত সিটিজেনরা। স্পন্সরশিপ আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আগে মূল ভিসার আবেদন করা যাবে না। আর, এটি অনুমোদিত হওয়ার পর ৬ মাসের মধ্যে মূল ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এর পর করা যাবে না।

মূল ভিসার জন্য আবেদনের জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হবেন স্পন্সরের সত্যিকারের বাবা-মা (বায়োলজিক্যাল প্যারেন্ট), পালক বাবা-মা (অ্যাডোপ্টিভ প্যারেন্ট), সৎ বাবা-মা (স্টেপ প্যারেন্ট) কিংবা শ্বশুর-শাশুড়ি (প্যারেন্ট-ইন-ল)।

ইমি-অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৫ হাজার ভিসা কোটা রাখা হয়েছে। এই সংখ্যা পূরণ হয়ে গেলে পরবর্তী অর্থ-বছরে বাকি আবেদনগুলোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৩ বছরের জন্য ভিসা-ফি লাগবে ৫ হাজার ডলার। আর, ৫ বছরের জন্য লাগবে ১০ হাজার ডলার।

প্রক্রিয়াকরণের সময় সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয় নি হোম অ্যাফেয়ার্স এর । বলা হয়েছে, অক্টোবরের দিকে এ সম্পর্কে জানা যেতে পারে।

এই ভিসায় অবস্থানকালে অস্ট্রেলিয়ায় কাজ করা যাবে না। প্রথমবারের মেয়াদ শেষ হলে দ্বিতীয় দফায় আবেদন করা যাবে। এভাবে সব মিলিয়ে ১০ বছর পর্যন্ত থাকা যাবে।

Follow SBS Bangla on .

Share
Published 19 July 2019 11:26am
By Sikder Taher Ahmad

Share this with family and friends