ক্রিস্টমাস আইল্যান্ড ডিটেনশন সেন্টারে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা, 'অনির্দিষ্টকাল ধরে নিষ্ঠুরতা' নিয়ে দাঙ্গা

গত মঙ্গলবার রাতে ক্রিস্টমাস আইল্যান্ড ডিটেনশন সেন্টারের একটি বিল্ডিংয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে, ভিডিওতে দেখা যায় একজন লোক বলছে "এতেই বোঝা যায় মানুষ কতটা হতাশার মধ্যে আছে।"

Footage of the incident on social media shows a building on fire, and a number of people on the roof.

Footage of the incident on social media shows a building on fire, and a number of people on the roof. Source: Facebook

গত মঙ্গলবার রাতে ক্রিস্টমাস আইল্যান্ড ডিটেনশন সেন্টারের শরণার্থী বন্দীরা দাঙ্গা শুরু করেছে, ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় অন্তত একটি বিল্ডিংয়ে আগুন ধরেছে এবং বেশ কিছু লোক ছাদের উপরে অবস্থান করছে।  

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে শোনা যায় একজন পুরুষ কণ্ঠ বলছে "এতেই বোঝা যায় মানুষ কতটা হতাশার মধ্যে আছে।"

তিনি বলছেন, "ওরা ছাদ পোড়াচ্ছে। ওদের সাথে এমন বাজে আচরণের জন্য ওরা অসুস্থ এবং ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। " 

"আরব মানুষ, সাদা মানুষ, আফ্রিকান মানুষ সবাই পিটার ডাটন আর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ওপর বিরক্ত ও ক্লান্ত, তারা আমাদের সাথে কুকুরের মত ব্যবহার করছে।" 



একজন বন্দী এসবিএস নিউজকে বলেন একজন লোক ছাদে উঠে পড়লে আরো কয়েকজন তার সাথে যোগ দেয় এবং দাঙ্গা শুরু করে, তারা অনেকেই  'অনির্দিষ্টকাল ধরে নিষ্ঠুরতা' মানতে পারছে না।  

এই ঘটনায় অন্তত একশ লোককে আটক করা হয়েছে।  

অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্স এক বিবৃতিতে ওই দ্বীপের নর্থ ওয়েস্ট পয়েন্ট ইমিগ্র্যাশন ডিটেনশন সেন্টারে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর 'আইন শৃঙ্খলা বজায়' রাখতে একটি অভিযান হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। 

বুধবার বিকেলে এবিএফ বিবৃতিতে আরো বলে "বন্দীদের একটি ক্ষুদ্র অংশ জায়গাটিতে রাতভর কিছু ক্ষতি করেছে এবং নিয়ম না মানার চেষ্টা করে যাচ্ছে।"

"সেন্টারটি এখন নিরাপদ আছে এবং বেশিরভাগ বন্দিই এতে যুক্ত নয়। বন্দী এবং কর্মীদের কেউ এই ঘটনায় আহত হয়নি।" 

এদিকে রেফিউজি অ্যাকশন কোয়ালিশন সিডনি জানতে পেরেছে অন্তত দুটি কম্পাউন্ডে আগুন ধরানো হয়েছে, এবং সেখানে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।  

আরো দেখুনঃ
বুধবার এই সংগঠনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, "আগুন লাগানোর কারণ সম্পর্কে তড়িৎ কিছু জানা যায় নি, তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিল্ডিংয়ের ভিতরে উত্তেজনা চলছিল, এবং গত ২৪ ঘন্টায় তা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।" 

কোয়ালিশন বলছে বন্দীদের হতাশার কারণগুলোর মধ্যে আছে তাদের দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিন কম্পাউন্ডের মধ্যে প্রতিদিন আটকে থাকা, প্রোপার্টিতে ঢোকা, সিগারেটের দাম, এবং সেন্টারের ভেতর মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকা।

আরো দেখুনঃ
সংগঠনের মুখপাত্র ইয়ান রিনটুল এসবিএস নিউজকে বলেন, "এই বন্দীদের বেআইনী নাগরিক বলা হোক বা না হোক - এদের অনেকেরই অস্ট্রেলিয়ান কমিউনিটিতে পরিবার আছে, কমিউনিটিতে যোগাযোগ আছে, আমার মনে হচ্ছে এই বিষয়টা গ্রাহ্য করা হচ্ছে না।" 

তিনি আরো বলেন,"যে করুন এবং বিচ্ছিন্ন পরিস্থিতিতে বন্দীরা বাস করছে তাতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও কল্যাণের ওপর প্রভাব পড়ছে।" 

আরো দেখুনঃ 

Share
Published 7 January 2021 2:37pm
Updated 12 August 2022 3:10pm
By Phillippa Carisbrooke, Jodie Stephens
Presented by Shahan Alam


Share this with family and friends