স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধী খাত শক্তিশালী করতে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের ভিসার শর্ত শিথিল করছে সরকার

করোনাভাইরাসের এই সঙ্কটময় সময়ে হেলথ ও ডিজেবিলিটি খাতের কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে মেডিকেল কোর্সগুলোতে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসার শর্ত শিথিল করছে অস্ট্রেলিয়া।

Students on university campus

Source: AAP Image/Dean Lewins

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মেডিকেল কোর্সে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা করোনাভাইরাসের এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির কারণে এখন আগের চেয়ে বেশি সময় কাজ করতে পারবে।

তাদের জন্য পাক্ষিক ৪০ ঘণ্টা কাজের সীমা শিথিল করছে ফেডারাল সরকার। এর মাধ্যমে তারা হেলথ ও ডিজেবিলিটি খাতে কর্মী সংখ্যা বাড়াতে চায়। গত মাসে এভাবে তারা নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীদেরকে অধিকতর সময় কাজের অনুমতি দিয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালান টাজ বলেন, ৮০০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে এজড এবং ডিজেবিলিটি কেয়ারার হিসেবে কাজ করছে। তাদের কর্মঘণ্টা বাড়ানোর বিষয়টি যুক্তিসঙ্গত।
Acting Immigration Minister Alan Tudge has told temporary migrants to contact the government if they have concerns.
Acting Immigration Minister Alan Tudge has told temporary migrants to contact the government if they have concerns. Source: AAP
তিনি বলেন,

“আমরা নিশ্চিত করছি যে, স্টেট এবং টেরিটোরিগুলোর হেলথ সার্ভিসগুলোতে (করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ) পরীক্ষা ও করোনাভাইরাস কেসগুলোর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল আছে। এভাবে আমরা এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবো।”

“আমরা আরও নিশ্চিত করছি যে, প্রতিবন্ধীদেরকে সহায়তা করার জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী রয়েছে। কারণ, বর্তমান কর্মী-বাহিনীর মধ্য থেকে অনেককেই কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে কিংবা তাদের নিজেদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য সময় দিতে হবে।”
ফেডারাল সরকার বলছে, এসব পদক্ষেপ সাময়িক এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে এগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৪ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে, নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। ফলে ঐচ্ছিক সার্জারির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত প্রায় ৬৬০০ ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের তিন ভাগের দু’ভাগেরও বেশি পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আনীত পরিবর্তনগুলোর ফলে এই ভাইরাসটি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় স্বাস্থ্যকর্মী সহজে পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন,

“স্বাস্থ্য-বিষয়ক সাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তবে, আমাদেরকে (করোনাভাইরাস শনাক্ত করার জন্য) পরীক্ষা করা চালিয়ে যেতে হবে এবং এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, অন্যান্য দেশে যেমনটি দেখা গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য প্রাদূর্ভাবগুলোর জন্য প্রস্তুত।”

“বিশেষভাবে, আমরা যেমন ঐচ্ছিক সার্জারিগুলো পুনরায় চালু করেছি, তেমনিভাবে স্টেট এবং টেরিটোরিগুলোরও যতোটা সম্ভব বহুল সংখ্যক স্বাস্থ্য-কর্মীকে তৈরি থাকতে হবে।”
Australian Health Minister Greg Hunt speaks to the media
Health Minister Greg Hunt speaks to the media. Source: AAP
স্বাস্থ্য মন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আনীত পরিবর্তনগুলোর ফলে এই ভাইরাসটি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় স্বাস্থ্যকর্মী সহজে পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন,

“স্বাস্থ্য-বিষয়ক সাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তবে, আমাদেরকে (করোনাভাইরাস শনাক্ত করার জন্য) পরীক্ষা করা চালিয়ে যেতে হবে এবং এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, অন্যান্য দেশে যেমনটি দেখা গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য প্রাদূর্ভাবগুলোর জন্য প্রস্তুত।”

“বিশেষভাবে, আমরা যেমন ঐচ্ছিক সার্জারিগুলো পুনরায় চালু করেছি, তেমনিভাবে স্টেট এবং টেরিটোরিগুলোরও যতোটা সম্ভব বহুল সংখ্যক স্বাস্থ্য-কর্মীকে তৈরি থাকতে হবে।”
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হিমশিম খাবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায়, নিউ সাউথ ওয়েলস ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে এই রাজ্যের স্বাস্থ্য-কর্মী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হবে।

ভিক্টোরিয়াতে গত মাসে এ রকম একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ানদেরকে নানাভাবে সহায়তা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সরকারি অর্থ-সাহায্য এবং ভর্তুকি পাওয়ার উপযুক্ততা লাভ করছে না। তাদের অনেকেই আর্থিক অনটনের মধ্যে আছে এবং এ নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন।

যে-সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমপক্ষে ১২ মাস ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বাস করছেন, তাদের জন্য তাদের সুপারঅ্যানুয়েশন ফান্ড থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছে সরকার।

With AAP
alc-covid-gatherings-bangla
Source: SBS
অস্ট্রেলিয়ানদেরকে অবশ্যই পরস্পরের মাঝে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্যদের সঙ্গে হলে দু’জনের বেশি একত্রিত হওয়া যাবে না।

আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাহলে আপনার ডাক্তারকে কল করুন। ডাক্তারের কাছে যাবেন না। আপনি ন্যাশনাল করোনাভাইরাস হেলথ ইনফরমেশন হটলাইনেও কল করতে পারেন এই নম্বরে: 1800 020 080

alc covid shopping bangla
Source: SBS


আপনার যদি শ্বাস-কষ্ট কিংবা মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, তাহলে 000 নম্বরে কল করুন।

আপনার ভাষায় কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ আপডেট জানাতে এসবিএস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ৬৩ টি ভাষায় এ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য পাবেন। ভিজিট করুন: .

alc-covid-gatherings-bangla
Source: SBS


বাংলায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক আমাদের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ভিজিট করুন:

ALC Covid-19 social messaging bangla
Source: SBS
Follow SBS Bangla on .


Share
Published 23 April 2020 4:28pm
Updated 23 April 2020 4:34pm
Presented by Sikder Taher Ahmad


Share this with family and friends