রোহিঙ্গা দম্পতিকে ভারত থেকে বিতাড়িত না-করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

রোহিঙ্গা দম্পতিকে ভারত থেকে বিতাড়িত করা যাবে না এমন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বন্দি উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা দম্পতিকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো যাবে না-রাজ্যকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ। রোহিঙ্গা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের অবস্থান কি তা হলফনামার আকারে উভয়পক্ষকে ৮ জানুয়ারি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের আরও নির্দেশ, বন্দীদের আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে। তাছাড়া তাঁদের মানবাধিকার যাতে ক্ষুন্ন না- হয় তাও দেখতে হবে রাজ্যকে।

As Myanmar Genocide Hearing Closes, Focus Is on Trapped Rohingya

(The New York Times) Source: The New York Times

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চর এ মামলার শুনানিতে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ দে আদালতে জানান, তাঁরা মায়ানমার থেকে বিতাড়িত। এই দম্পতিকে সেখানে পাঠানো হলে তাঁদের মৃত্যু অনিবার্য । তাই সরকার ওদের ফেরত না পাঠিয়ে বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে বিবেচনা করুক। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে রোহিঙ্গাদের নিয়ে তদন্ত চলছে। তাছাড়া ইউনাইটেড নেশন হাইকমিশনর ফর রিফিউজি এই দম্পতিকে উদ্বাস্তু ঘোষণা করে পরিচয়পত্র দিয়েছে। সেই পরিচয়পত্র মানছে না রাজ্য। তখন বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন, 'এনআরসি বেআইনি হলে,এটাও কি বেআইনি?রাজ্যের তরফের আইনজীবী অর্ক নাগ জানান, কেন্দ্রের বিধি নিষেধ রয়েছে এটা রাজ্যের বিষয় নয়। উভয়পক্ষের বক্তব্য পেশের পর মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সেখানে না পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মায়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রাণ ভয় সেখান থেকে ভারতে পালিয়ে আসেন আদি শুকুর ও তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। ২০১৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ধরা পড়েন তাঁরা। এরপর এই দম্পতিকে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেই মেয়াদ পূর্ণ হতেই কারাগার কর্তৃপক্ষ ওই দম্পতিকে মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে।উল্লেখ্য মিনমারের সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের পর রাখাইনের ভিটা মাটি ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে যায় ৭০০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গারা। এর কিছু অংশ গোপনে পালিয়ে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে।

 


Share
Published 25 December 2019 11:58am
By Partha Mukhapadhdhaya
Presented by Abu Arefin

Share this with family and friends