ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় যারা অস্ট্রেলিয়ায় ও বাইরে আটকে পড়েছেন তাদের কী করণীয়?

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কমাতে ২০ মার্চ, শুক্রবার রাত নয়টা থেকে অনাগরিক এবং অনাবাসীদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক, অধিবাসী এবং তাদের সরাসরি পারিবারিক সদস্যদেরকে এ দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। অস্থায়ী ভিসাধারীরা যারা অস্ট্রেলিয়ার ভেতরে আটকে পড়েছেন এবং যারা অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পারছেন না তাদের কী করণীয়?

The Prime Minister has announced unprecedented restrictions on all travel overseas as part of a range of measures to slow the spread of COVID-19. (SBS)ister has announced unprecedented restrictions on all travel overseas. (SBS)

The Prime Minister has announced unprecedented restrictions on all travel overseas as part of a range of measures to slow the spread of COVID-19. (SBS) Source: SBS

অস্ট্রেলিয়ায় বাইরে থেকে আগমনকারী সবাইকে নিজের বাড়িতে কিংবা হোটেলে ১৪ দিনের জন্য সেল্ফ-আইসোলেশনে যেতে হবে।

কোনো ভ্রমণকারী যদি এই নির্দেশনা অনুসরণে ব্যর্থ হন সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টেট ও টেরিটোরির নিয়ম অনুসারে জরিমানা করা হতে পারে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

পরিবারের নিকট-সদস্যদের মধ্যে কেউ (স্পাউস, ডিপেন্ডেন্ট চাইল্ড কিংবা লিগাল গার্ডিয়ান) যদি অস্থায়ী ভিসাধারী হন, তাহলে আপনার আত্মীয়তার সম্পর্কের প্রমাণ সরবরাহ করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনবশত যারা অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণ করতে চান, তারা এক্জেম্পশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

নাগরিক

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা অস্ট্রেলিয়ায় আসতে পারবেন। ফেরার পর তাদেরকে তাদের বাড়িতে কিংবা হোটেলে ১৪ দিন সেল্ফ-আইসোলেশনে থাকতে হবে। অস্ট্রেলিয়ানদেরকে বিদেশে ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর, বিদেশে অবস্থানরত অস্ট্রেলিয়ানদেরকে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত আসতে বলা হয়েছে।

পার্মানেন্স রেসিডেন্ট

অস্ট্রেলিয়ান পার্মানেন্ট রেসিডেন্টরাও অস্ট্রেলিয়ায় আসতে পারবেন। তবে, ১৪ দিন সেল্ফ-আইসোলেশনে যেতে হবে।

নিউ জিল্যান্ডের নাগরিক ও অস্ট্রেলিয়ার পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট

যারা নিউ জিল্যান্ডের নাগরিক এবং অস্ট্রেলিয়ার রেসিডেন্ট, তারাও অস্ট্রেলিয়ায় আসতে পারবেন। তাদেরকেও ১৪ দিনের জন্য সেল্ফ-আইসোলেশনে যেতে হবে। তাদেরকে অবশ্যই তাদের রেসিডেন্সির প্রমাণ দেখাতে হবে (ড্রাইভার লাইসেন্স কিংবা এ সংক্রান্ত নথিপত্র)।

ইমিডিয়েট ফ্যামিলি মেম্বার

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্টের পরিবারের নিকট-সদস্য হিসেবে এক্ষেত্রে স্পাউজ (স্বামী/স্ত্রী), ডিপেন্ডেন্ট এবং লিগাল গার্ডিয়ান বোঝানো হচ্ছে।

ভিসা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় আসা যাবে না। ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট ইত্যাদি সংযুক্ত করতে হবে।

যারা এদেশে বেড়াতে এসে আটকা পড়েছেন তাদের কী হবে?

অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত ভিসাধারীদের বিদ্যমান ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি হয়তো কোনো ব্রিজিং ভিসার জন্য উপযুক্ত হবেন, যার মাধ্যমে আপনি আপনার ভিসা-আবেদনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এখানে থাকতে পারবেন।

ভিসার শর্ত হিসেবে নো ফারদার স্টে কন্ডিশন (৮৫০৩, ৮৫৩৪ এবং ৮৫৩৫) এর মানে হলো আপনি অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে না গেলে বেশির ভাগ ভিসার জন্যই আবেদন করতে পারবেন না। আপনার বিদ্যমান ভিসার মেয়াদ যদি ২ মাসের কম থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি এই শর্ত বাতিল করার জন্য করতে পারবেন।

অন্যান্য ভিসা কন্ডিশন এবং ব্রিজিং ভিসার বিভিন্ন অপশন দেখার জন্য হোম অ্যাফেয়ার্স ওয়েবসাইট দেখুন।

অস্ট্রেলিয়ার বাইরে অবস্থানরত অস্থায়ী ভিসাধারী ও ভিসা-আবেদনকারীদের করণীয়

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে যেসব অস্থায়ী ভিসাধারী অস্ট্রেলিয়ায় নির্ধারিত তারিখের আগে প্রবেশ করতে পারছেন না, তাদেরকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর নতুনভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যারা অ্যাডিশনাল ইনফরমেশন, যেমন, হেলথ কিংবা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, বায়োমেট্রিক্স, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং ইত্যাদি জমা দিতে পারছেন না, তাদেরকে অতিরিক্ত সময় প্রদান করা হবে।

ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যারা অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে পারছেন না, তাদেরকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর নতুন করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

যাদেরকে ভিসার আবেদন করার সময়ে কিংবা ভিসা ইস্যু হওয়ার সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে হবে, তাদেরকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর নতুন করে আবেদন করতে হবে।

টেম্পোরারি গ্রাজুয়েট ভিসাধারী যারা অস্ট্রেলিয়ান স্টাডির শর্ত কিংবা রিজিওনাল ইনিশিয়েটিভস এর অধীনে থাকার শর্ত পালন করতে পারছেন না তাদের জন্য কেস-বাই-কেস বিবেচনা করে কনসেশন দিতে যাচ্ছে ডিপার্টমেন্ট।

Follow SBS Bangla on .

Share
Published 23 March 2020 2:17pm
By Sikder Taher Ahmad

Share this with family and friends