আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গাদের স্থায়ী অভিবাসী করার দাবিতে কাজ করছেন উশ্রি

Rohingya

রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী সাবরিন ফারুকি উশ্রি। Source: AAP Image/EPA/ABIR ABDULLAH

এক অনিশ্চিত জীবন কাটাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রায় দু'হাজার রোহিঙ্গা। আশ্রয় নেয়া এ মানুষগুলো জানেন না আদৌ কি মিলবে স্থায়ী অভিবাসী ভিসা? হবে কি আর দেখা পরিবারের সাথে? মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতন থেকে প্রাণে বাঁচতে, তারা সবাই অস্ট্রেলিয়া এসেছেন ২০১২ সালে।


গত সপ্তাহে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী এডিলেইডে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল লেবার পার্টির জাতীয় কনফারেন্স। সেখানে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজন করে 'হিউম্যান রাইটস ইন এশিয়া' বিষয়ক সেমিনার। তাতে লেবার পার্টির হয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেন সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশী সাবরিন ফারুকি উশ্রি। তিনি 'লেবার ফর রিফিউজি' এবং 'লেবার ফর এইডের' হয়ে কাজ করছেন।

মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্যবহুল অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের জন্য নেয়া অস্ট্রেলিয়া সরকারের পদক্ষেপ এবং আগামীতে লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসলে কি করবে তা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। 
Rohingya
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত সেমিনারে কথা বলছেন সাবরিন ফারুকি উশ্রি। Source: Supplied
নিউ সাউথ ওয়েলস কার্যকরী কমিটির সদস্য উশ্রি বলেন, কয়েক'শ বছর ধরেই রোহিঙ্গাদের উপর জাতিগত দাঙ্গা চালিয়ে আসছে মিয়ানমার। 

"রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ তার সর্বোচ্চটা করেছে। তবে শরণার্থী ক্যাম্পে মানবিক জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে। কারণ এখনো লিঙ্গ বৈষম্যে ভুগছে রোহিঙ্গা নারীরা। বাল্য বিবাহসহ জোড়পূর্বক বিয়ে দেয়া হচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের।"
Rohingya
অস্ট্রেলিয়া লেবার পার্টির জাতীয় কনফারেন্স। Source: Supplied
উশ্রি জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। কিন্তু তাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তেমন কোন ভূমিকা রাখছে না ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি। উল্টো বার্ষিক বাজেটের একটা অংশ দিয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

"প্রশিক্ষণ দেয়ার আগে অবশ্যই এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত মিয়ানমারের কোন সেনা কর্মকর্তা যেন এ সুযোগ না পায়। এজন্য সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য আবেদনকৃত সকল মিয়ানমার সেনার অতীত কর্মকান্ড যাচাই করতে হবে," বলেছেন উশ্রি।
Rohingya
লেবার পার্টির জাতীয় কনফারেন্সে উশ্রি। Source: Supplied
আসছে বছরের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচন। ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই তার দল ক্ষমতায় আসবে বলে আশাবাদী উশ্রি। 

"দল ক্ষমতায় আসলে আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গাদের স্থায়ী অভিবাসী করার ব্যাপারে কাজ করছি। পাশাপাশি তাদের পরিবারকে যেন অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে আসা যায় সে বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রে," বলেছেন সাবরিন ফারুকি উশ্রি।

বাংলায় পুরো সংবাদ শুনতে উপরের অডিও লিংকে ক্লিক করুন।


Share