জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নিষ্ক্রিয়তা, অস্ট্রেলিয়াকে গুনতে হতে পারে বছরে একশত বিলিয়ন ডলারেরও বেশি

The aftermath of a bushfire near the town of Bumbalong, south of Canberra on February 2, 2020 .

A bushfire burns near the town of Bumbalong, south of Canberra on February 2, 2020. Source: Photo by PETER PARKS/AFP via Getty Image

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

একটি নতুন প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিরূপ আবহাওয়ায় ২০৩৮ সাল নাগাদ অস্ট্রেলিয়ার বার্ষিক ক্ষতির পরিমান দাঁড়াবে একশত বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ন্যাশনাল দলের এমপিরা যখন কয়লা নির্ভর পাওয়ার স্টেশন স্থাপনের জন্য তোড়জোড় করছে তখনই এই রিপোর্টিটি এলো।


২০১৯ এবং ২০২০ সালের যে ভয়াবহ ব্ল্যাক সামার বুশফায়ার মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছে তার স্মৃতি এখনো অনেক অস্ট্রেলীয়ানদের মনে রয়ে গেছে। 

খরা এবং বা সমুদ্রের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে সৃষ্ট ক্ষতির ঘটনাগুলো ইঙ্গিত করে যে জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব অস্ট্রেলিয়াকে কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। 

২১০০ সালে চরম আবহাওয়ার কারণে সারাবিশ্বে যে সংখ্যায় মানুষ মারা যাবে তা ২০২০ সালের করোনাভাইরাসের মৃত্যুকেও ছাড়িয়ে যাবে। 

অলাভজনক সংস্থা ক্লাইমেট কাউন্সিল এক নতুন প্রতিবেদনে এই কথাই বলা হচ্ছে।

এই প্রতিবেদনের প্রধান লেখক প্রফেসর উইল স্টেফেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা নিয়ে নিষ্ক্রিয় থাকার কুপ্রভাব প্রতিফলিত হবে আগামী দিনগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে।

অস্ট্রেলিয়ার চরম আবহাওয়ার কারণে সত্তর দশকের পর থেকে এ পর্যন্ত ক্ষতির পরিমান আগের চেয়ে দ্বিগুন হয়েছে, এবং গত কয়েক দশকে ক্ষতি হয়েছে মোট ৩৫ বিলিয়ন ডলার। এবং ওই প্রতিবেদনের লেখক হিসেব করেছেন যে এই ক্ষতির পরিমান ২০৩৮ সাল নাগাদ গিয়ে দাড়াবে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশনের প্রাক্তন কর্মকর্তা ডঃ রবার্ট গ্লাসের বলেন, ক্লাইমেট কাউন্সিলের এই রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার জরুরী ভিত্তিতে সক্রিয় হতে হবে।

ক্লাইমেট কাউন্সিল বলছে সরকার তাদের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে যথেষ্ট কাজ করছে না। 

প্রফেসর স্টেফেন বলেন, অস্ট্রেলিয়াকে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ অর্ধেক করে ফেলতে হবে, এবং ২০৪০ সালের মধ্যে নিঃসরণ শূন্য করে ফেলতে হবে।

ট্রেজারার যশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, অস্ট্রেলিয়া তাদের বর্তমান লক্ষমাত্রা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রফেসর স্টেফেন বলেন, কোভিড ১৯-এর পর অর্থনীতি উদ্ধারের সাথে সাথে অস্ট্রেলিয়ার বিদ্যুৎ খাতকে পুনঃ নবায়নযোগ্য সিস্টেমে পরিবর্তন, ক্লিন হাইড্রোজেনে বিনিয়োগ এবং পরিবহনকে বিদ্যুৎ খাতে রূপান্তর অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী।

তিনি বলেন, ফেডারেল সরকারের তরফ থেকে গ্যাসভিত্তিক যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা সমস্যাজনক।

এদিকে ন্যাশনাল দলের এমপিরা অস্ট্রেলিয়ায় কয়লাভিত্তিক পাওয়ার স্টেশন স্থাপনের আহবান জানিয়েছে।

ন্যাশনাল দলের সিনেটর ম্যাট ক্যানাভান বলেন, নিউ সাউথ ওয়েলসের হান্টার ভ্যালিতে যে নতুন কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্ট নির্মাণের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে ওই এলাকায় নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে।

কিন্তু মিঃ ফ্রাইডেনবার্গ ওই এলাকায় এমন কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানান।

ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার মাইকেল ম্যাককরমেক বলেন, দেশের জ্বালানী খাতের জন্য বৈচিত্রময় এবং মিশ্র উৎস প্রয়োজন।

পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন

আরো দেখুন:

Share