অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পাঁচ বছরের আইনী লড়াই

Lawyer Michael Chan and Troyrone Zen Lee

Lawyer Michael Chan and Troyrone Zen Lee Source: SBS

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

হোম এফেয়ার্সের বিরুদ্ধে একজন অস্ট্রেলিয়ান পাঁচ বছরের আইনী যুদ্ধের পর প্রমাণ করতে পেরেছেন যে তিনি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। তাকে বিভ্রান্তিকরভাবে পাপুয়া নিউ গিনির নাগরিক বলে দাবি করেছিল হোম এফেয়ার্স।


গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো

  • পাঁচ বছর আগে ইমিগ্র্যাশন বিভাগ ট্রয়রণে জেন লী'কে বলেছিলো তিনি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নন
  • অভিবাসন আইনজীবী মাইকেল চ্যানের সহায়তায় তিনি বিষয়টি কোর্টে নেন
  • বিষয়টি ডিপার্টমেন্ট গুরুত্ব দেয়নি এবং এতে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়তেন, এছাড়াও অন্যান্য ঝুঁকিও তো ছিল

অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব নিয়ে এই ঐতিহাসিক বিচারের রায়ে সুপারিশ করা হয়েছে যে ওই ব্যক্তিকে যাতে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়, কারণ তিনি আর্থিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই রায় অনেক অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ বিশেষ করে স্বাধীনতার আগে যারা পাপুয়া নিউ গিনিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

সময়মত পাসপোর্ট নবায়ন করতে যাওয়া...থেকে আটক করার হুমকি পাওয়া এবং অবশেষে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়া।

পাঁচ বছর আগে, ইমিগ্র্যাশন বিভাগ ট্রয়রণে জেন লী'কে বলেছিলো তিনি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নন।
১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার কয়েক মাস আগে পাপুয়া নিউ গিনিতে জন্মেছিলেন লী, শিশুকালে তিনি তার অস্ট্রেলিয়ান বাবা-মায়ের সাথে ব্রিসবেনে চলে আসেন।

২০১৭ সালে তৎকালীন ইমিগ্র্যাশন মিনিস্টার পিটার ডাটন এক চিঠিতে ডিপার্টমেন্টের অবস্থান নিশ্চিত করে বলেন বৈধভাবে অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে জন্মালেও তিনি পাপুয়া নিউ গিনিয়ান।

অভিবাসন আইনজীবী মাইকেল চ্যানের সহায়তায় তিনি বিষয়টি কোর্টে নেন।

ফেডারেল কোর্টের ফুল বেঞ্চ একমত হয়ে রুল দেন যে ডিপার্টমেন্ট এবং তাদের মন্ত্রীরা সিটিজেনশিপ আইনের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন।

তারা ট্রয় লীয়ের অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেনশিপ বহাল রাখেন, ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন এবং তার মানসিক এবং আর্থিক ক্ষতির বিবেচনায় এক্ট অফ গ্রেস পেমেন্টের মত একটি বিরল আর্থিক ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করেন। তবে ডিপার্টমেন্ট বা মন্ত্রীদের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়নি।

হোম এফেয়ার্স হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল না করায় এটি বহাল থাকে।

আইনজীবী মাইকেল চ্যান বলেন এখন তাদের 'দুঃখিত' বলা উচিৎ।

ট্রয় তাইওয়ানে থাকা তার স্ত্রী এবং ছেলেকে দেখতে যেতে পারেননি, তিনি সেখানে দ্রুতগামী ট্রেনের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং কাজটি হারান।

তিনি অস্ট্রেলিয়াতে কাজের অধিকার হারিয়ে তার নাগরিকত্বের প্রমান খুঁজতে থাকেন, যেমন ফেডারেল সরকারের কাছে থাকা জন্ম সনদ।

এবং হোম এফেয়ার্সও আদৌ তার পি-এন-জি নাগরিকত্ব আছে কিনা যাচাই করেনি, তাই তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে সেটি করেন।

বিষয়টি ডিপার্টমেন্ট গুরুত্ব দেয়নি এবং এতে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়তেন...এছাড়াও অন্যান্য ঝুঁকি তো ছিলই।
ট্রয়ের ব্যারিস্টার প্রফেসর কিম রুবেনস্টেইন তার ইমিগ্র্যাশন বিষয়গুলো যাচাই করেন এবং চলতি সিটিজেনশিপ আইন খতিয়ে দেখেন এবং বলেন এটি কোন বিচ্ছিন্ন মামলা নয়।

এসবিএস হোম এফেয়ার্সকে বেশ কিছু প্রশ্ন করে এবং উত্তর চায় যে তারা কোন ভুল করেছে কিনা, এবং কিভাবে তারা নিশ্চিত করবে এমন ভুল আর হবে না, তারা ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি সমর্থন করে কিনা, এবং ক্ষমা প্রার্থনা করবে কিনা।

তবে বিভাগ থেকে একটি সাধারণ বিবৃতি দেয়া হয়, "মিনিস্টার (এলেক্স হওক ) বর্তমানে এই রায়ের বিষয়গুলো বিবেচনা করছেন।"

ট্রয় লীয়ের এই সংগ্রাম হোম এফেয়ার্স ও পুরো সিস্টেমের ওপর তার আস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

ট্রয় এখন তার উপার্জন হারানো এবং মানসিক ট্রমার ক্ষতিপূরণ হিসেবে সাত অংকের (বা মিলিয়ন ডলারের) পেমেন্টের আবেদন করছেন, তিনি তার পাসপোর্ট ফিরে পেয়েছেন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানের কাছে ফিরতে চান।

ট্রয় লীয়ের নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আইনি যুদ্ধ নিয়ে এসবিএস নিউজের পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

আরও দেখুন:

Share