করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীর অভিঘাত পড়েছে কমবয়সীদের মানসিক স্বাস্থ্যে

More young people are asking for help due to COVID-19

Sibling Rivalry Source: Getty Images

করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাব পড়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কমবয়সী অস্ট্রেলিয়ানদের সহায়তা চাওয়া বেড়েছে। রিচআউট এবং কিডস হেল্পলাইন-এর মতো সাপোর্ট সার্ভিসগুলো বলছে, নিঃসঙ্গতায় ভোগা এবং অনলাইনে লার্নিংয়ের মতো ইস্যুগুলোর কারণে কমবয়সীরা আগের চেয়ে বেশি সংখ্যায় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। সেজন্য মানসিক-স্বাস্থ্য-সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের চাহিদা আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।


কমবয়সী অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে ভীত নয়; বরং এই বৈশ্বিক মহামারীর ব্যাপক অভিঘাত নিয়েই তারা উদ্বিগ্ন।
 
ডিজিটাল ইয়ুথ মেন্টাল হেলথ সার্ভিস রিচআউট-এর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রেকর্ড সংখ্যক কমবয়সী অস্ট্রেলিয়ান তাদের কাছে সহায়তা চাচ্ছে।
 
প্রতিষ্ঠানটির চিফ একজিকিউটিভ অ্যাশলে ডি সিলভা বলেন, একাকীত্ব এবং রিমোট লার্নিংয়ের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়েই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা সহায়তা চাচ্ছে।
 
গত বছর এই সময়ের তুলনায় এ বছর রিচআউট-এর অনলাইন সার্ভিসে  দ্বিগুণ সংখ্যক ভিজিটর দেখা গেছে।
 
প্রতিষ্ঠানটির আর্জেন্ট হেল্প পেজে ভিজিটের সংখ্যা বেড়েছে ১৪ শতাংশ। আর, এই প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে সাম্প্রতিক স্কুল হলিডেজ-এ।
 
মিস্টার ডি সিলভা বলেন, মার্চ মাস থেকে রিচআউটের অনলাইন পিয়ার-সাপোর্ট ফোরামগুলোতে ৬৫ হাজারেরও বেশি এনগেজমেন্ট দেখা গেছে।
তিনি বলেন, রিচআউটের যাবতীয় মানসিক-স্বাস্থ্য-সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। যে-কোনো ডিভাইস ব্যবহার করে তাদের ওয়েবসাইট থেকে এসব সেবা গ্রহণ করা যাবে।
 
কিডস হেল্পলাইন পরিচালনা করে চ্যারিটি ইয়োরটাউন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের পক্ষ থেকেও জানা গেছে যে, কোভিড-১৯ সঙ্কটের সময়ে সাহায্য চেয়ে বহু কল এসেছে।
 
ইয়োরটাউন-এর চিফ একজিকিউটিভ ট্রেসি অ্যাডামস বলেন, গত বছর একই সময়ের তুলনায় এ বছর এপ্রিলে জাতীয়ভাবে সেবা-চাহিদা ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত জানুয়ারি থেকে কিডস হেল্পলাইনের কাউন্সেলররা ৪৩ শতাংশ বেশি ইমার্জেন্সি “ডিউটি অফ কেয়ার” ইন্টারভেনশন্স নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
 
অর্থাৎ, গুরুতর ক্ষয়-ক্ষতি থেকে শিশু ও কমবয়সীদেরকে রক্ষা করতে জরুরি সেবাগুলোর সঙ্গে কিংবা অন্য কোনো এজেন্সির সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছেন।
 
মিজ অ্যাডামস বলেন, আত্মহত্যার চেয়ে শিশু নিপীড়ন বৃদ্ধি নিয়ে বেশি উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। কাউন্সেলরদের “ডিউটি অফ কেয়ার” ইমার্জেন্সি ইন্টারভেনশন্স নিয়ে কাজ করার সেটাও একটি কারণ।
ইউনিভার্সিটি অফ সিডনির ব্রেইন অ্যান্ড মাইন্ড সেন্টার এর সাম্প্রতিক একটি মডেলিংয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীতে বছরে অতিরিক্ত ১৫০০ আত্ম-হত্যার ঘটনা ঘটতে দেখা যাবে। আর, এগুলোর ৩০ শতাংশ পর্যন্তই হবে কমবয়সী অস্ট্রেলিয়ান।
 
হেলথ মিনিস্টার গ্রেগ হান্ট গত বৃহস্পতিবার বলেন, এই মডেলিংটি ন্যাশনাল কেবিনেটে মেন্টাল হেলথ রেসপন্স প্লানে বিবেচনা করা হবে।
 
পাঁচ থেকে ২৫ বছর বয়সী লোকেরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সহায়তা লাভের জন্য কিডস হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারে। সেজন্য kidshelpline.com.au ভিজিট করুন কিংবা কল করুন 1800 55 1800 নম্বরে।
 
আপনার ভাষায় করোনাভাইরাসের আপডেট পেতে sbs.com.au/coronavirus ভিজিট করুন।

পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন 

আরো পড়ুনঃ  







Share