৪৭ জন অস্ট্রেলিয়ান বিলিয়নেয়ারের সম্পদ দ্বিগুণ বেড়েছে কোভিড মহামারীতে

Private airplane with red carpet

Source: The Image Bank RF/Getty Images

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর প্রথম দু’বছরে অস্ট্রেলিয়ার ৪৭ জন ধনকূবেরের সম্পদ ২৫৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ সময়ে প্রতি সেকেন্ডে তাদের সম্পদ বেড়েছে ২,৩০০ ডলারেরও বেশি। অর্থাৎ, প্রতিদিনে বৃদ্ধি পেয়েছে ২০৫ মিলিয়ন ডলার। দাতব্য সংস্থা অক্সফামের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। অক্সফাম বলছে, বৈশ্বিকভাবে এই অসাম্য বৃদ্ধির বিষয়টি পরিলক্ষিত হচ্ছে।


করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীর আঘাতে কোটি কোটি লোক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ধনকূবেরদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব তেমনটা দেখা যায় নি। মহামারীর সময়ে প্রপার্টি ও স্টক মার্কেটের দর বৃদ্ধি পায়। ফলে তাদের সম্পদ বাড়তে থাকে।

দাতব্য সংস্থা অক্সফাম গ্রুপের একটি নতুন বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, বিগত দু’বছরে অস্ট্রেলিয়ার বিলিয়নেয়ারদের ধন-সম্পদ অনেক বেড়েছে, যেখানে বহু লোক আর্থিকভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে।
অক্সফাম অস্ট্রেলিয়ার ডাইরেক্টর অফ প্রোগ্রাম অ্যান্থিয়া স্পিঙ্কস বলেন, ৪৭ জন অস্ট্রেলিয়ান বিলিয়নেয়ারের সম্পদ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসের সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে অক্সফাম বিশ্বের শীর্ষ দশ জন ধনী ব্যক্তির তালিকাও প্রকাশ করেছে; যাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং টেসলার সিইও এলন মাস্ক। অক্সফামের মতে, এদের সম্মিলিত সম্পদ প্রতিদিন ১.৩ বিলিয়ন ডলার বা ১৩০ কোটি ডলার করে বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

বিশ্বের ৩.১ বিলিয়ন দরিদ্রের তুলনায় এই ধনী ব্যক্তিদের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ছয় গুণ বেশি।

মিজ স্পিঙ্কস বলেন, দারিদ্র্যসহ অসাম্যের নানা দিকের প্রতি মনোযোগ প্রদানের গুরুত্ব এর আগে কখনও এতোটা অনুভূত হয় নি।

রিপোর্টটিতে আরও বলা হচ্ছে, সম্পদের অসম বণ্টনের কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার লোকের মৃত্যু হয়; যাদের অনেকেই স্বাস্থ্যসেবা পায় না এবং ক্ষুধা ও লিঙ্গ-ভিত্তিক অসাম্যের শিকার হয়।

ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে চড়া হারে কর আদায়ের জন্য অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশগুলোর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অক্সফাম।

অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অফ সোশাল সার্ভিসের চিফ একজিকিউটিভ ক্যাসান্ড্রা গোল্ডিও এর সমর্থন করেন।

অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন ফেডারাল নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিবিদেরা এখন কর বাড়াবেন না বলে মনে করছেন কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ। তবে, তারা বলছেন যে, অসাম্য হ্রাস করার জন্য অন্যান্য নীতিমালার প্রতি নজর দেওয়া দরকার।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্রফোর্ড স্কুল অফ পাবলিক-এর প্রফেসর পিটার হোয়াইটফোর্ড বলেন, বয়স্ক সেবাখাতে আরও অর্থায়ন করা উচিত।

পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .


এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 



Share