সাইবার অপরাধের কারণে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে প্রতিবছর ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়

Young Asian businesswoman sitting on the bench in an urban park working outdoors, logging in to her laptop and holding smartphone on hand with a security key lock icon on the screen. Privacy protection, internet and mobile security concept

Young Asian businesswoman sitting on the bench in an urban park working outdoors, logging in to her laptop and holding smartphone on hand. Source: Moment RF

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

একটি নতুন রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় র‌্যানসম-ওয়্যারের আক্রমণ আরও বেশি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হবে। এটি প্রতিরোধে পরিষ্কার নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে সেই রিপোর্টটিতে। ফেডারাল সরকারের নতুন মানদণ্ড অনুসারে, সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি হ্রাসে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে, কোম্পানি ডাইরেক্টরদেরকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা হতে পারে।


এটা এমনই একটি হুমকি যা সচরাচর দেখা যায় না; তবে, এর ফলে অনেক ভোগান্তি হতে পারে।

বিগত ১৮ মাসে অস্ট্রেলিয়ায় অগণিত প্রতিষ্ঠান সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চ্যানেল নাইন। এ বছরের শুরুর দিকে সাইবার আক্রমণের ফলে তাদের সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটে।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাটেজি পলিসি ইনস্টিটিউটের চিফ একজিকিউটিভ র‌্যাচেল ফোক বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় এ বিষয়ে নীতিমালার অভাব থাকায় এ দেশটি একটি ‘সহজ লক্ষ্যে’ পরিণত হয়েছে।

অচিরেই আরও সাইবার আক্রমণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেন।
র‌্যানসমওয়্যার আক্রমণের মাধ্যমে কারও ফাইল এনক্রিপ্ট করা হয় এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না র‌্যানসম বা মুক্তিপণ, অর্থাৎ, খেসারত প্রদান করা হচ্ছে, সে-সব ফাইল মুক্ত করা হয় না।

সরকারি গবেষণায় দেখা যায়, সাইবার অপরাধের কারণে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে বছরে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়। এ জন্য ফেডারাল সরকার অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় কোম্পানিগুলোর ডাইরেক্টরদের প্রতি অতিরিক্ত দায়-দায়িত্ব চাপানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে; যেন তারা তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর এর শিকার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার ক্যারেন অ্যান্ড্রুজ বলেন, সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ; তবে এটাই সব নয়। কোম্পানিগুলোর তথ্য-উপাত্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতি তিনি জোর দেন।

মেলবোর্নের আইটি কনসালট্যান্ট অ্যাঙ্গেলো ডি সিলভা মনে করেন, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে সাইবার ঝুঁকি বাড়ছে।

সাইবার অপরাধ থেকে কোম্পানিগুলোর কর্মীরা যেন রক্ষা পেতে পারেন, সেজন্য তাদেরকে প্রশিক্ষিত করতে কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ ধরনের আক্রমণের ঘটনা অবহিত করার প্রতি কেউ কেউ জোর দিয়ে থাকেন। তবে, সরকার বলছে, প্রথমে তারা একটি স্বেচ্ছামূলক উদ্যোগের বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে চায়।

সাইবার-নিরাপত্তার বিষয়টি সংস্কারের বিভিন্ন উদ্যোগের মাঝে এটিও রয়েছে। আর, র‌্যানসম পেমেন্ট বা খেসারত প্রদানের ক্ষেত্রে আইনী বিষয়টি সম্পর্কে আরও স্বচ্ছতা আনার জন্যও আহ্বান জানানো হচ্ছে।

হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার মিজ অ্যান্ড্রুজ জোর দিয়ে বলেন যে, সাইবার অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের কখনই র‌্যানসমওয়্যারের দাবি করা অর্থ প্রদান করা উচিত হবে না।

আগামী মাসে একটি আলোচনার নথিপত্র চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।

প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share