করোনভাইরাস এর কারণে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে

Secretary to the Treasury Dr Steven Kennedy appears before a Senate Estimates hearing at Parliament House in Canberra, Thursday, March 5, 2020. (AAP Image/Mick Tsikas) NO ARCHIVING

Secretary to the Treasury Dr Steven Kennedy Source: AAP

রিজার্ভ ব্যাংক এবং ফেডারেল ট্রেজারি সতর্ক করছে যে করোনভাইরাস এর কারণে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে ।পরামর্শদাতা সংস্থা প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্সের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে COVID-19 ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি বাজেভাবে খতিগ্রস্থ হবে। প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের লিংকটিতে ক্লিক করুন


ফেডারেল ট্রেজারি মার্চ ত্রৈমাসিতে পূর্বাভাস দিচ্ছে যে সিওভিড -১৯ এর ফলে দেশের মোট দেশীয় পণ্য [[জিডিপি]] এর কমপক্ষে ০.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমে যাবে বিশেষ করে পর্যটন ও শিক্ষা খাত থেকে।
এই পূর্বাভাসটি বুশফায়ার এর প্রভাবের ফলে ক্ষতির চাইতে দ্বিগুণেরও বেশি, পর্যটন ও শিক্ষা খাতে মোট ক্ষতি কমপক্ষে ০.৭ শতাংশ বলে ধারণা দেয়া হয়েছে। ।
ট্রেজারি সেক্রেটারি ডাঃ স্টিভেন কেনেডি বলেছেন যে মার্চ মাসে অর্থনীতির পরিস্থিতি কি হবে সে বিষয়ে সরকারের তুলনামূলকভাবে একটা পরিষ্কার ধারণা রয়েছে।
তবে মিঃ কেনেডি এও বলেছেন যে পরবর্তী মাসগুলিতে অর্থনৈতির উপর কি প্রভাবে পড়বে তা অনুমান করা কঠিন

পরামর্শদাতা সংস্থা প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস [[পিডাব্লুসি]] হুঁশিয়ারি দিচ্ছে এ বছর বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হতে পারে, আর এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্ভাব্যভাবে প্রায় এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হতে পারে ।
যদিও অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতিতে ৩৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
Chief economist এবং P-W-C এর পার্টনার জেরেমি থর্প বলেন, প্রধান উদ্বেগ হ'ল উত্পাদনশীলতা।তিনি বলেন যে সমস্ত লোকেরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তারা তাদের কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং এর ফলে ব্যবসা গুলিতে সাধারণত উত্পাদনশীল কমে যায়।

এই মরণঘাতী ভাইরাসটি ২০০০ এর গোড়ার দিকে SARS প্রাদুর্ভাবকে ছাড়িয়ে গেছে, যা মূলত এশীয় অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।
রিজার্ভ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর গাই দেবেল বলেন যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব অনস্বীকার্য
তবে মিঃ দেবেল বলেছেন, করোনভাইরাসটির দীর্ঘায়ুত্ব ফলে অর্থনীতিতে এর প্রভাব লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। করোনা ভাইরাস চীনের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে।

মে বাজেটে উদ্বৃত্ত হওয়ার সম্ভাবনা এখন ন্যূনতম বলে মনে হচ্ছে, বিরোধীরা অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলছে।
সরকার জরুরীভাবে ভাইরাসটির প্রভাব রোধে একটি উদ্দীপনা প্যাকেজ এর চিন্তা ভাবনা করছে।
এবিসি'র সাথে কথা বলতে গিয়ে Treasurer Josh Frydenberg বলেন যে এর ফলে সরকারের ব্যায় হবে কয়েক বিলিয়ন ডলার।

সংসদীয় প্রশ্নকালে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন যে তিনি আস্থা রেখেছেন যে উদ্দীপনা প্যাকেজটি অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতিতে সহায়তা করবে।

ফেডারেল সরকারের উদ্দীপনা প্যাকেজ আশা করা হচ্ছে আগামী দিন গুলোতে


Share