প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় সমালোচনার মুখে অস্ট্রেলিয়া সরকার

Australian Federal Treasurer Josh Frydenberg

Treasurer Josh Frydenberg is talking up the economic impact of the government's workplace review. (AAP) Source: AAP

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

এক দশকে অস্ট্রেলিয়া তার সর্বনিম্ন বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। কিন্তু এই নিম্নগামী পরিসংখ্যান সত্ত্বেও, ফেডারেল সরকার দাবি করছে যে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী । লেবারের ট্রেজারি মুখপাত্র জিম চালমারস বলেন, কোয়ালিশন সরকারের অধীনে অর্থনীতি "ভুল পথে চলছে"।


এক দশকে অস্ট্রেলিয়া তার সর্বনিম্ন বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করেছে।

কিন্তু এই নিম্নগামী পরিসংখ্যান সত্ত্বেও, ফেডারেল সরকার দাবি করছে যে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী ।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্যাটিস্টিকস ব্যুরোর নতুন তথ্যে দেখা যায় যে জুনের প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ০.৫ শতাংশ।

জুন পর্যন্ত গত ১২ মাসে জি-ডি-পি মাত্র ১.৪ শতাংশ বেড়েছে - যদিও মার্চ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ১.৮ শতাংশ ছিল।

২০০৯ সালের পর থেকে বিশ্ব অর্থনীতি আর্থিক সংকটের কবলে পড়েছিল এবং সে সময় থেকে এটি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ধীরতম বার্ষিক প্রবৃদ্ধির রেকর্ড।

তবে ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ এই সমালোচনা এড়িয়ে বলেছেন যে, বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য এটি একটি কঠিন সময়, তবে অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী।

লেবারের ট্রেজারি মুখপাত্র জিম চালমারস বলেন, কোয়ালিশন সরকারের অধীনে অর্থনীতি "ভুল পথে চলছে"।

গ্রিনস নেতা রিচার্ড ডি নাটাল একইভাবে সমালোচনা করেছেন।

ডা: চালমার্স বলেন যে ফলাফল দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা না থাকার পরিণতি।

তবে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন যে পরিসংখ্যানগুলিতে ইনকাম ট্যাক্স-কাট এবং সুদের হার হ্রাসের যে ইতিবাচক প্রভাব থাকার কথা তা পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি - ফলাফল সেপ্টেম্বরের প্রান্তিকে দেখা যাবে বলে সরকার প্রত্যাশা করে।

যদিও কয়লা, লৌহ আকরিক এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের রফতানি বাড়াতে মূলত প্রবৃদ্ধি হয়েছে, কিন্তু গৃহস্থালি খাতের ব্যয় এবং আবাসন নির্মাণ খাতে মন্দা রয়ে গেছে যা অর্থিনীতির চালিকা শক্তি।

ডেলোয়েট অ্যাকসেস ইকোনমিকসের ক্রিস রিচার্ডসন বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের চেয়ে বরং দেশীয় ইস্যুগুলি প্রবৃদ্ধির হার কমার জন্য বেশি দায়ী।

ধীর প্রবৃদ্ধির অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে আছে রিটেইল সেক্টরে নিম্নগামী ব্যয় প্রবণতা এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার এক শতাংশে থাকা।

আর-বি-এ বলেছে যে টেকসই প্ৰবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন হলে তারা সুদ হার আরও কমিয়ে আনবে। তবে মিঃ রিচার্ডসন বলেন, সম্ভবত সুদহার কমানোর এখনও প্রয়োজন হয়নি।

পুরো অডিওটি শুনতে ওপরের ছবিতে  ক্লিক করুন 


Share