স্নাতক শিক্ষার্থীরা বেকারত্বের মুখোমুখি হচ্ছেন ?

In this photo provided by Geoff Livingston, Georgetown University students and others gather for their own graduation celebration at the National Mall in Washington, Saturday, May 16, 2020. (Geoff Livingston via AP)

University students and others gather for their own graduation celebration . Source: Geoff Livingston

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

এই বছর স্নাতক পাস করতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষৎ পরিকল্পনায় কোভিড -১৯ এর প্রভাব পড়তে পারে। নতুন একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মহামারী থেকে আক্রান্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব আগামী কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ান যুবকদের বিশেষ করে ১৫ বছর থেকে ২৪ বছরের মধ্যে প্রভাবিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেনটি শুনতে উপরের অডিও লিংকটিতে ক্লিক করুন।


মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ ও পরিচালনায় স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করার পরে ডেডি ক্রিস্টিয়ানো এই বছর জুলাইতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু কভিড -১৯ তার পরিকল্পনা ব্যর্থ করেছে। চব্বিশ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী নিশ্চিত নন যে তাঁর সেরেমনিটি যথা সময় হবে।
এ ছাড়াও সে অনিশ্চয়তায় ভুগছে যে তার বাবা-মা মূল পরিকল্পনা অনুসারে তার স্বদেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে যোগ দিতে অস্ট্রেলিয়াতে ভ্রমণ করতে পারবেন কিনা।

অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবছর ৩৪০,হাজারের বেশি উচ্চশিক্ষিত শিক্ষার্থী স্নাতক হন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের বেশি অ্যাকাউন্টিং নিয়ে পড়াশুনা করে । মিঃ ক্রিস্টিয়্যান্তো বলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে নির্মাণ শিল্পে চাকরি রয়েছে, তবে তিনি আশা করছেন যে প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হবে কারণ নিয়োগকর্তারা অস্থায়ী ভিসা কর্মীদের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ান বাসিন্দাদের বেশি পছন্দ করতে পারেন।

মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের Communications নের শিক্ষার্থী অ্যাঙ্গাস ম্যাকলার্ডি মহামারীর আগে তার চাকরির সম্ভাবনা সম্পর্কে আশাবাদী ছিল এবং বছরের মধ্যভাগে স্নাতক হওয়ার আশায় ছিল।

একটি নতুন প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে অল্প বয়স্ক ব্যক্তিদের বছরের পর বছর ধরে কর্মসংস্থানের উপর গভীর প্রভাব ফেলবে।

মহামারীটি আঘাত হানার আগে অস্ট্রেলিয়ায় যুব বেকারত্ব ছিল ১১.৫ শতাংশ, যা বিস্তৃত জনসংখ্যার হারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

এপ্রিলে এ সংখ্যা ১৩.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছিলো ওই মাসে প্রায় ৬০০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান চাকরি হারায়। এর মধ্যে ১৫-২৪ বছর বয়সী যুবকদের সংখ্যা ৩৫ শতাংশ ।

এই রিপোর্টির সহ-লেখক, অধ্যাপক পল ফ্লাটাউয়ের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সেন্টার ফর সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট - বলেন যে যুব বেকারত্বের হার বছরের শেষের দিকে আরও বাড়বে।তিনি বলেন, মহামারীকালীন সময়ে চাকরির বাজারে প্রবেশের অল্প বা কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়া অল্প বয়সী লোকেরা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, তরুণদের সহায়তার জন্য ফেডারাল সরকারের পরামর্শ ও উন্নয়ন কর্মসূচির মতো কয়েকটি পদক্ষেপ বিবেচনা করা উচিত।

মেলবোর্নের টুপয়েন্ট জিরো নামের একটি প্রতিষ্ঠান তরুণদের পড়াশোনা থেকে কর্মসংস্থানে রূপান্তর করার জন্য ক্যারিয়ারের প্রশিক্ষণ এবং কাউন্সেলিং সহায়তা দিচ্ছে। সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ শেফার্ড বলেছেন যে তিনি এইচএসসি শিক্ষার্থী এবং শীঘ্রই হতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের কাছ থেকে অনেকগুলি ইনকোয়ারি পেয়েছেন।

সিডনি ভিত্তিক কেরিয়ার পরিচালনা সংস্থা এক্সট্রার্ডিনারি ইউ এর ডিরেক্টর গিনা বেল বলেন, কেরিয়ার পরামর্শদাতাদের জ্ঞান পুরোপুরি ওয়ার্কারদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া দরকার।

তিনি মহামারীটিকে "রাস্তায় কাঁটাচামচ" বা "কার্ভ বল" * হিসাবে দেখেন যা ব্যক্তির কেরিয়ার এবং জীবনে ঘটে।

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন vocational training এর সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মনে করেন এই জব-ম্যাকার প্রোগ্রামটি মহামারী পরবর্তী কর্মসংস্থান পেতে সহায়ক হবে।

যদিও কোনও নতুন তহবিলের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে না. প্রধানমন্ত্রী বলেন যে জাতীয় দক্ষতা এবং কর্মশক্তি চুক্তি এর অধীনে রাজ্যগুলিতে বাৎসরিকভাবে দেওয়া ১.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যবহার আরও ভালভাবে দেখতে চান।

ব্রাদারহুড অফ সেন্ট লরেন্সের ফেডারেল-অর্থায়িত ট্রানজিশন টু ওয়ার্ক প্রোগ্রামটির ইতিমধ্যে চাহিদা বাড়ছে। ব্রাদারহুড অফ সেন্ট লরেন্সের যুব সমাজের প্রধান স্যালি জেমস বলেন তিনি আশা করছেন যে চাহিদা কেবল বাড়বে।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জব অ্যাক্টিভ প্রোগ্রামে ৪০ শতাংশের তুলনায় এই কর্মসূচিতে ৭১ শতাংশ তরুণেরা ২৬ সপ্তাহ ধরে টেকসই শিক্ষা এবং কাজ করে।

মিস জেমস বলেন যে মডেলটি ইতিমধ্যে তরুণদের জন্য ফলাফল বয়ে নিয়ে আসছে এবং তিনি এর প্রসার ঘটাতে আরও বেশি তহবিল সরবরাহ দাবি করেন।.

আপনার ভাষায় করোনাভাইরাস আপডেট জানতে sbs.com.au/coronavirus এ ক্লিক করুন।


Share