ইংরেজি ভাষায় যথেষ্ট দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন

Muslim migrant studying at university

Afganistan göçmeni olan Yusuf Karimi, mimarlık mezunu olsa da Avustralya'da uzmanlık dlaında iş bulmakta zorlanıyor. Source: SBS

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

ইংরেজি ভাষায় যথেষ্ট দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা আশংকা করছেন যে বিদেশী নাম দেখে নিজের অজ্ঞাতে সৃষ্টি হওয়া পক্ষপাত এবং টাইপকাস্টিংই এই বাধার কারণ। পুরো সংবাদের অডিওটি শুনতে ওপরের লিঙ্কে ক্লিক করুন ।


ইউসুফ কারিমি ১৭ বছর বয়সে আফগানিস্তান থেকে অস্ট্রেলিয়া আসেন ২০০৭ সালে।  

হাইস্কুল শেষে সে তার পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে।  

মিঃ কারিমি আরএমআইটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি করে স্থাপত্যকলায় মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন গতবছরের শেষে।  

কিন্তু, তার সব সহপাঠীরা স্থাপত্যশিল্পে কাজ পেলেও অন্তত ৫০টি আবেদন করেও তিনি এখনো পর্যন্ত 

কোন ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাননি।  

এর বদলে তিনি এখন রিটেলে কাজ করছেন।     

সম্প্রতি ডেকিন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা থেকে দেখা যায় ইউসুফের মতো শিক্ষিত অভিবাসীরা কেন জব মার্কেটে ঢুকতে পারছে না।   


গবেষণায় দেখা যায় মুসলিম অভিবাসীরা যখন ইংরেজি তে দক্ষতা অর্জন করে তখন তাদের শিক্ষার মান ও উন্নত হয়।   


কিন্তু এতে তাদের কর্মসংস্থানের কোন সম্ভাবনা তৈরী হয় না।   


এই গবেষণার নেতৃত্ত দিয়েছেন অর্থনীতির প্রভাষক ডক্টর জাহিত গোয়েন।  তিনি বলেন, অমুসলিম অভিবাসীদের বেলায় এমনটা দেখা যায় না।   


এই গবেষণায় ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সেনসাস ডাটা ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ বা তার কম বয়সী শিশু অভিবাসীদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে।   


এতে দেখা যায় মুসলিম অভিবাসীরা উচ্চতর পর্যায়ে পড়াশোনা করলেও কেন তারা সেভাবে চাকরি পাচ্ছে না তা অজ্ঞাত রয়ে গেছে।   


ডক্টর গুয়েন বলেন , অস্ট্রেলিয়া ইংরেজিতে দক্ষতার ওপর জোর দিলেও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভাবেনি।   


যদিও এই গবেষণাতে কর্মসংস্থানের চিত্রটি কেন এমন তা ব্যাখ্যা করা হয়নি, তবে মুসলিম নেতারা আশংকা করছেন যে 

অবচেতনগত পক্ষপাতই এর জন্য দায়ী।   


ইসলামিক কাউন্সিল অফ ভিক্টোরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার আয়মান ইসলাম বলেন, ইসলামোফোবিয়ার মত বিষয় ও এ জন্য দায়ী।   


মি: ইসলাম বলেন,এই ইস্যুটি মুসলিম আবেদনকারীদের ইন্টারভিউতে ডাকার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়, 

যখন স্কুলের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায়ই তাদেরকে কোন কোন জায়গায় অংশগ্রহণে  বাধা দেয়া হয়।   


যদিও এর কোন সহজ সমাধান নেই , তারপরেও মি: কারিমি বলেন, তিনি স্থাপত্য কর্মে চাকরির চেষ্টা করেই যাবেন, 

এবং তার কমুনিটির জন্য তিনি রোল মডেল হতে চান।   



Share