অস্ট্রেলিয়ার নেট মাইগ্রেশন রেট কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর আগের পর্যায়ে যাচ্ছে

AUSTRALIAN UNIVERSITIES RANKING

Students enter the University of New South Wales (UNSW) in Sydney on Thursday, Sept. 22, 2016. Australia's universities continue to perform strongly on a global level, with eight universities among the top 200 and 35 of its 43 universities make the list, all within the top 800, but the latest rankings offer a warning about the rise of Asian institutions. (AAP Image/Dean Lewins) Source: AAP / DEAN LEWINS/AAPIMAGE

কয়েক বছর ধরে সীমান্ত বন্ধ থাকা এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকার পর, অস্ট্রেলিয়ার নেট মাইগ্রেশন রেট এখন কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর পূর্ববর্তী পর্যায়ে পৌঁছুচ্ছে। একটি রিপোর্টে দেখা যায়, এ বছর অভিবাসন আবারও আগের পর্যায়ে ফিরে আসছে। মূলত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ফিরে আসায় অভিবাসনের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে।


ধাক্কায় বিশ্ব যেন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছিল। বহু বিদেশী শিক্ষার্থী এবং কর্মী এর অভিঘাতে নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
এই বৈশ্বিক মহামারীর কারণে সীমান্তে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো নেট মাইগ্রেশন লসের সম্মুখীন হয় দেশটি। তবে, ফেডারাল সরকারের ২০২২ সালের পপুলেশন স্টেটমেন্ট ডাটা থেকে দেখা যাচ্ছে, অভিবাসনের হার আবারও বৈশ্বিক-মহামারী-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে আসছে।

নতুন তথ্য-উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থ-বছরের শেষ নাগাদ নেট মাইগ্রেশন ২৩৫,০০০ এ পৌঁছুবে, যা কিনা বৈশ্বিক-মহামারী-পূর্ববর্তী অবস্থার অনুরূপ। আর, এই হার বজায় থাকবে।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ডেমোগ্রাফার কিং গুয়ান বলেন, অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজারের ওপরে এই অবস্থার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।

ট্রেজারার জিম চ্যালমার্স এবিসি রেডিওকে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী-চাহিদা পূরণে অভিবাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আরও বহু কিছু করতে হবে।

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিবাসন ও কর্ম-সংস্থান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর অ্যাঙ্গেলা নক্স বলেন, কম-বেতনের কাজ যারা করেন তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং তাদের ক্যারিয়ার এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটি একটি বড় সুযোগ।
অভিবাসন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের দ্রুত ফিরে আসার বিষয়টি।

গত বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে করা স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনগুলো মঞ্জুরের হার ছিল কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর আগে, অর্থাৎ, ২০১৯ সালে সেই একই সময়কালের হারের সমান কিংবা তারও বেশি।

মাঙ্কি কিং স্টুডেন্ট মাইগ্রেশন এজেন্সির হ্যান ইয়াং বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সীমান্তগুলো উন্মুক্ত থাকায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা নব-উৎসাহে এদেশে পড়তে আসছে।

ইউনিভার্সিটিজ অস্ট্রেলিয়ার চিফ একজিকিউটিভ মিজ ক্যাট্রিওনা জ্যাকসন এবিসি নিউজকে বলেন, এটি ভাল লক্ষণ।

তবে সকল শিক্ষার্থীরাই কিন্তু ফিরে আসতে পারছে না।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share