নতুন পোশাকের বেশিরভাগই ফেলে দেয় ক্রেতারা

Clothings at Op Shop

Clothings at Op Shop. Source: Getty/Hero Images

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

বিশ্ব জুড়ে ভোক্তাদের জন্য প্রায় ১০০ বিলিয়ন নতুন পোশাক তৈরি করা হয় প্রতিবছর। এগুলোর বেশিরভাগই পরিধান করা হয় না, ব্যবহার না করেই ফেলে দেওয়া হয়। তবে, এসবের কিছু কিছু দান করা হয় বিভিন্ন সেকেন্ড-হ্যান্ড দোকানে, যেখান থেকে সমাজের অনগ্রসর ব্যক্তিরাসহ সর্বস্তরের উৎসাহী ক্রেতারা এগুলো সংগ্রহ করে থাকেন।


ভিয়েতনামে জন্ম নেওয়া হ্যানের বয়স এখন  ৬০ এর কোঠায়। প্রায় ৩০ বছর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তখন প্রথমবারের মতো তিনি সেকেন্ড-হ্যান্ড শপিংয়ের সঙ্গে পরিচিত হন।
কয়েক দশক পরে তার অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে। তারপরও হ্যান এখনও সাসটেইনেবল শপিং সমর্থন করেন। তিনি বলেন, পণ্য দ্রব্য ফেলে দেওয়ার বদলে পুনরায় ব্যবহার করা কিংবা রিসাইকেল করার বিষয় এটি।
 
ফেলে দেওয়া প্রায় ৬০০ হাজার টন গৃহস্থালী  জিনিসপত্র বিক্রি করা হয় অস্ট্রেলিয়ার ২৫০০ অপ শপে।
ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ চ্যারিটেবল রিসাইক্লিং অর্গানাইজেশনন্স-এর সিইও ওমের সোকার বলেন, দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো এসব দাতব্য পণ্য থেকে বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করে থাকে।
 
দেশে-বিদেশে বহু অপ শপ পরিদর্শন করেছেন এনিকো এক্কার্ট। তিনি লক্ষ করেছেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এসব ব্যবহৃত পণ্য কিনে থাকে।
 
বিশ্বের অন্যতম দূষণকারী শিল্প হলো ফ্যাশন-ইন্ডাস্ট্রি। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এবং ম্যারিটাইম শিপিং মিলে যতো না পরিবেশ দূষণ ঘটায়, তারচেয়েও বেশি পরিবেশ দূষণ করে এই ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি। Nature Climate Change Journal-এর এই অভিমত।
 
অস্ট্রেলিয়ানরা প্রতিবছর প্রায় ২৭ কিলোগ্রাম পোশাক কিনে থাকে। এর মধ্যে ২৩ কিলোগ্রামই ফেলে দেওয়া হয়।
 
ফ্যাশনের জন্য কেনা বিভিন্ন পণ্য সত্যিকারভাবে কতোটা ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে জানতে ২০টি দেশের ১৮ হাজার পরিবারের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছে রিলোকেশন কোম্পানি মোভিঙ্গা। সমীক্ষাতে দেখা যায়, এসব পোশাকের অন্তত অর্ধেক পরিমাণই কখনও পরিধান করা হয় না।

প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .




Share