অস্ট্রেলিয়ার এক স্টেট থেকে আরেক স্টেটে স্হায়ীভাবে যেতে হলে আপনার যা জানা প্রয়োজন

Is 2019 the right year to buy a house? Or should I wait for 2020?

Is 2019 the right year to buy a house? Or should I wait for 2020? Source: Getty Images

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

প্রতিবছর অন্তত চারশত হাজার অস্ট্রেলিয়ান তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করে থাকে। কর্মসংস্থান, শিক্ষা, লাইফস্টাইল, পরিবার বা কমুনিটির সান্নিধ্যে থাকতে সাধারণত তারা বাসস্থান পরিবর্তন করে থাকে। যেহেতু এক স্টেট থেকে আরেক স্টেটে আইনকানুন এবং সেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ম কানুন ভিন্ন, তাই এ ব্যাপারে একটা চেকলিস্ট থাকলে আপনার বাসস্থান পরিবর্তন সহজ হয়।


 

এক স্টেট থেকে আরেক স্টেটে যাওয়ার এই প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে।  অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিক্স থেকে দেখা যায় এই প্রবণতা অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেয়া নাগরিকদের থেকে বিদেশে জন্ম নেয়া অভিবাসীদের মধ্যেই বেশি। 

নতুন কোন দেশে থিতু হওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।  তাই অন্য কোন স্টেটে নতুন করে স্থায়ী হতে চাওয়ার মানে হচ্ছে একই কাজ দুবার করা।

সেটেলমেন্ট সেবা দাতা সংস্থা এ এম ই এস অস্ট্রেলিয়ার পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার লরি নোয়েল বলেন, অভিবাসীরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় আসেন তাদের আগে থেকেই কোথায় থাকবেন এ ব্যাপারে আরো ভেবে নেয়া উচিত। 

আপনি যখন স্থান পরিবর্তন করবেন তখন চেকলিস্টে কিছু বিষয় থাকতে হবে,  যেমন সরকারি দপ্তর, ব্যাংক, আর টি এ এবং অন্যান্য যেসব সার্ভিস আপনি নিয়ে থাকেন সেখানে ঠিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে জানানো। 

এ কাজগুলো অনলাইনে এখন খুব সহজেই করা যায়।  

পল্লবী থাক্কর ভারত থেকে প্রথমে সিডনি আসেন, এরপর মেলবোর্নে যান ভালো কর্মসংস্থানের প্রত্যাশায়।  তিনি অভিবাসীদের কোন আর্থিক সমস্যা এড়াতে 'মুভিং বাজেটের' পরামর্শ দেন। 

এটা মনে রাখতে হবে যে রাজ্যভেদে ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম এবং সেবা দাতাদের নিয়ম ভিন্ন হয়ে থাকে। 

অস্ট্রেলিয়ায় একটা ন্যাশনাল কারিকুলাম আছে, আপনি যেখানেই বাস করুন বা যে স্কুল সিস্টেমের অধীনে থাকুন না কেন তা আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। 

এ ক্ষেত্রে এ এম ই এসের লরি নোয়েল বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগে কিছু গবেষণা করে নেয়া ভালো কারণ, সার্টিফিকেট, পড়ার বিষয় এবং স্কুল টার্মের মধ্যে পার্থক্য আছে। 

প্রতিটি স্টেটে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন এবং লাইসেন্সের জন্য  তাদের নিজস্ব আইন কানুন আছে।  এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্রের দরকার হয় এবং এজন্য ফিসও ভিন্ন হয়। 

অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দেয়া বাধ্যতামূলক। যতবারই আপনি স্থান পরিবর্তন করবেন ইলেক্টোরাল রোলে আপনার ঠিকানা হালনাগাদ করতে হবে।  তা না হলে আপনার নাম বাদ পড়বে এবং আপনি ভোট দিতে পারবেন না। 

লরি নোয়েল বলেন অস্ট্রেলিয়ান ইলেকশন কমিশন আপনার তথ্য হালনাগাদ করতে বিভিন্নভাবে সুযোগ দেবে।

অনেক সময় অভিবাসীরা ভালো সাংস্কৃতিক যোগাযোগ এবং কমুনিটির সহায়তা পেতেও বাসস্থান পরিবর্তন করে। 

পল্লবী থাক্কর বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে তিনি ভালো পরামর্শ পেয়েছেন এবং ভারতীয় কমুনিটির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন। 

লরি নোয়েল বলেন, কমিউনিটি ফোরাম ছাড়াও বিভিন্ন সেটেলমেন্ট সার্ভিস এবং মাইগ্রান্ট রিসোর্সেস সেন্টারগুলোও অভিবাসীদের সাহায্য করে থাকে।

এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে অস্ট্রেলিয়ার কোয়ারেন্টাইন আইনগুলো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর এবং এক স্টেট থেকে আরেক স্টেটে গেলে তা মানতে হবে।  তাই ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে বলে গাছ, প্রাণীজ উপকরণ, এবং কৃষি উপকরণ সাথে না নেয়াই উত্তম। 

এ ব্যাপারে আরো জানতে অস্ট্রেলিয়ান গভর্নমেন্টের ইন্টারস্টেট কোয়ারেন্টাইন ওয়েবসাইট দেখতে পারেন। 


Share