অস্ট্রেলিয়ায় সিটিজেনশিপ টেস্টে অচিরেই পরিবর্তন আসছে

অস্ট্রেলিয়ায় সিটিজেনশিপ টেস্টে অচিরেই পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিলেন অ্যাক্টিং ইমিগ্রেশন মিনিস্টার অ্যালান টাজ। সিটিজেনশিপ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ান মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হবে, বলেন তিনি।

Alan Tudge

International students from India may not return to Australia in large numbers this year: Alan Tudge Source: AAP, Getty

শুক্রবার ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে বক্তৃতায় ইমিগ্রেশন মিনিস্টার অ্যালান টাজ বলেন, সিটিজেনশিপ টেস্টে “অস্ট্রেলিয়ান মূল্যবোধ”-এর প্রতি শক্তভাবে নজর রাখা হবে।

প্রেস ক্লাবে তিনি বলেন,

“অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব একটি বিশেষ অধিকার এবং দায়িত্ব এবং এটি তাদেরকে প্রদান করা উচিত যারা আমাদের মূল্যবোধ সমর্থন করে, আমাদের আইনসমূহের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যতের প্রতি অবদান রাখতে চায়। আমাদের নিশ্চিত করা উচিত যে, যারা এখানে আসে এবং যারা এখানে থাকতে চায় তারা পরিষ্কারভাবে বুঝে নিক এবং স্বেচ্ছায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোক সবার জন্য সাধারণ মূল্যবোধগুলোর প্রতি, যা আমাদের সবাইকে অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে একতাবদ্ধ করে।”

তিনি আরও বলেন,

“আমরা অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্বের প্রতিও অনেক জোর দিব, লোকজনকে এটি গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করবো।”

অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেনশিপ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ান মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হবে, বলেন তিনি।
১৯৪৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত পাঁচ মিলিয়নের চেয়েও বেশি অভিবাসী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব লাভ করেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হলে সাধারণত এখানকার স্থায়ী অভিবাসী হতে হয়। এ ছাড়া, ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী সিটিজেনশিপ বাই কনফেরাল আবেদনকারীদেরকে সিটিজেনশিপ টেস্টে বসতে হবে। এতে পাশ করতে হলে ৭৫ শতাংশ বা তারও বেশি নম্বর পেতে হয়।

আবেদন করার সময়ে যাদের বয়স ১৭ বছর বা তারও কম এবং যাদের বয়স ৬০ বছর বা তারও বেশি, তাদেরকে এই পরীক্ষা দিতে হবে না।

সিটিজেনশিপ পাওয়ার পর যেসব অধিকার ও দায়িত্ব পালন করতে হয়, সেসব বিষয়ে আবেদনকারীর ধারণা কতোটুকু রয়েছে তা যাচাই করে দেখা হয় এই টেস্টে।

আবেদনকারীরা “অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেনশিপ - আওয়ার কমন বন্ড” নামের একটি পড়তে পারেন। এর ওপর ভিত্তি করে ২০ টি বহু-নির্বাচনী প্রশ্ন করা হয় নাগরিকত্ব পরীক্ষায়।

কেউ যদি এই পরীক্ষায় সফল না হন, তাহলে কোনো ফি ছাড়া সেদিনই আবার টেস্টে বসা যাবে। নতুন করেও টেস্টের বুকিং দেওয়া যাবে।

নাগরিকত্বের আবেদন মঞ্জুর হলে আবেদনকারীকে সাধারণত এর ছয় মাসের মধ্যে যোগ দিতে হয়। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্বের শপথ গ্রহণ করতে হয়। তবে, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে আজকাল এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হচ্ছে।

Follow SBS Bangla on .

Share
Published 28 August 2020 7:28pm
By Sikder Taher Ahmad

Share this with family and friends