“হোবার্টে অভিবাসন করা সহজ হলেও এখানে কাজের সুযোগ কম”

SBSL0219.JPG

হোবার্ট বাংলাদেশ কমিউনিটি ইনক (HBC Inc) এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট আশফাকুর রহমান (অমি) বলেন, হোবার্ট খুব বড় শহর নয়, এটার সুযোগ-সুবিধা সীমিত। এটা মাথায় রেখে এখানে আসতে হবে। Source: SBS / Abhas Parajuli

হোবার্ট বাংলাদেশ কমিউনিটি ইনক (HBC Inc) এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট আশফাকুর রহমান (অমি) কথা বলেছেন এসবিএস বাংলার সঙ্গে।


কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (CSIRO) এর প্রিন্সিপাল রিসার্চ সায়েন্টিস্ট আশফাকুর রহমান (অমি) ২০১২ সাল থেকে হোবার্টে বসবাস করেন।

হোবার্টে বাংলাদেশীদের বসবাস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে বাংলাদেশীদের বসবাস অনেক আগে থেকেই। ২০০৫ সাল থেকে বলা যায়।
হোবার্ট বাংলাদেশ কমিউনিটি ইনক (HBC Inc) এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট আশফাকুর রহমান (অমি) আরও বলেন, ২০১২-২০১৩ সালের দিকে সেখানে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের নিয়ে তিনি একটি জিমেইল গ্রুপ খোলেন। তখন এর সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭ জন। তার মতে, ছোট-বড় সবাইকে ধরে তখন হোবার্টে বাংলাদেশীদের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি ছিল না। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,

“হোবার্টে আসলে বাংলাদেশীদের সংখ্যাটা অনেক বেশি বেড়েছে ২০১৬-১৭ সালের পর থেকে।”

“তখন আপনার ইমিগ্রেশনের রুলটা যেটা করেছির অস্ট্রেলিয়ান গভার্নমেন্ট তাতে তাসমানিয়াতে থাকাটা ছিল খুবই ফেভারেবল।”

প্রথম দিকে লোকজন কম থাকার কারণে সেখানে বাংলাদেশীরা ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। আনুষ্ঠানিকভাবে হোবার্ট বাংলাদেশ কমিউনিটি ইনক প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে। এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট নূর রহমান। প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট আশফাকুর রহমান এ সম্পর্কে বলেন,

“অফিসিয়ালি হোবার্ট বাংলাদেশ কমিউনিটি ইনক প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের নভেম্বরে।”

“HBC Inc এই প্লাটফরমটির কাজটাই হচ্ছে যে, হোবার্টে বাংলাদেশী বা বাংলা ভাষাভাষী যারা আছেন তাদের সবাইকে একসাথে করার মতো একটা প্লাটফরম তৈরি করে দেওয়া।”

পাশাপাশি, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নিজেদের সংস্কৃতি পৌঁছে দেওয়ার জন্যও তারা কাজ করে থাকেন, বলেন তিনি।
“হোবার্ট বাংলাদেশ কমিউনিটি আরও তিনটি বড় স্পোর্টস ইভেন্টের আয়োজন করে। এগুলো মূলত বাংলাদেশীদের জন্য উন্মুক্ত।” সকার, ক্রিকেট এবং ব্যাডমিন্টন খেলার কথা বলেন তিনি।

“বাংলা স্কুল নামে আরেকটা সংগঠন সমান্তরালভাবে পরিচালিত হয়। এটা প্রথমে HBC Inc এর অধীনেই ছিল। এ বছরের শুরু থেকে তারা আলাদাভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে”, বলেন তিনি।

“কোভিডের সময়ে এই স্কুলটি শুরু হয়েছিল। সপ্তাহে এক দিন ক্লাস হয়, অনলাইনে। এতে দু’টি শাখা আছে। একটি কিশলয় এবং আরেকটি হচ্ছে নতুন কুঁড়ি। নতুন কুঁড়ি হচ্ছে একদম ছোট বাচ্চারা, যারা মাত্র শুরু করবে। আর, কিশলয় হচ্ছে একটু অগ্রসরদের জন্য।”

“আর, বাংলা স্কুল সমান্তরালভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর, এসব দিবসগুলো নিজেরা আবার উদযাপন করে।”

হোবার্টে বাংলাদেশীদের অভিবাসনের বিষয়ে তিনি বলেন,

“হোবার্টের জব মার্কেটটা একটু ভিন্ন রকম।”

“হোবার্ট খুব বড় শহর নয়, এটার সুযোগ-সুবিধা সীমিত। এটা মাথায় রেখে এখানে আসতে হবে।”

“হোবার্টে অভিবাসন করা তুলনামূলকভাবে সহজ হলেও এটা মাথায় নিয়ে আসতে হবে যে, এখানে সুযোগ-সুবিধা কম।”

তার মতে, হোবার্টে বাংলাদেশীরা ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছেন। হোবার্টে বাংলাদেশীদের তিনটি ক্রিকেট ক্লাব আছে, বলেন তিনি।

বাংলাদেশীদের মালিকানাধীন অনেকগুলো রেস্টুরেন্টও আছে। তবে, সেগুলো আসলে বাংলাদেশী খাবারের রেস্টুরেন্ট নয়।
আশফাকুর রহমানের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share