শিক্ষার্থীর সংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্যেই বাংলাভাষা চর্চ্চা এগিয়ে নিতে চান পার্থের বাংলাভাষীরা

Bangladeshi Community in Perth

Children of Bangladeshi Community in Perth performing in a cultural program Source: Supplied

মাতৃভূমির সীমানা ছাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাভাষীরা নতুন প্রজন্মের জন্য বাংলা ভাষা চর্চ্চা অব্যাহত রেখেছেন। পার্থের বাংলাভাষীরাও তার ব্যতিক্রম নন।বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া এসোসিয়েশন অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া (BAAWA) এই লক্ষে 'পাঠশালা বাংলা স্কুল' প্রতিষ্ঠা করে ২০১০ সালে। এই স্কুলের শিক্ষিকা এবং পেশায় প্রকৌশলী মিসেস শর্মিষ্ঠা সাহা এসবিএস বাংলাকে জানাচ্ছেন বাংলা স্কুল নিয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনার কথা।


'পাঠশালা' স্কুলের শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা সাহা বাংলা ভাষা চর্চ্চার তাৎপর্য্য সম্পর্কে বলেন, "আমরা যারা হৃদয়ে বাংলা ভাষা ধারণ করি, এটা আমরা ভাবতেই পারি না যে আমার পরবর্তী প্রজন্ম বাংলা জানবে না; আর এই ভাবনা থেকেই পার্থে বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।"

তবে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও আছে, তার মধ্যে বড় ইস্যু হলো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা।
Bangladeshi Community in Perth
Perth's Pathshala Bangla school teacher Mrs Sharmistha Saha Source: Supplied
তিনি বলেন, " অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় তাদের এখানে প্রবাসী বাংলাভাষীদের সংখ্যা কম, তাই শিক্ষার্থীও কম, শুরুতে তারা বেশ সাড়া পেলেও ধীরে ধীরে তাদের অভিভাবকদের মধ্যে নানা কমিটমেন্টের কারণে আগ্রহের কমতি দেখা যায়।"

তবে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের আগ্রহী করে তুলতে তারা নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, গল্প বলার ছলে শেখানো, বা স্পোর্টস একটিভিটি ইত্যাদি।

তাদের এসোসিয়েশন বাওয়া (BAAWA) বাংলা স্কুলের মাধ্যমে ভাষা শেখানো ছাড়াও বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস, নববর্ষসহ গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে নানা ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন যেখানে বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা নৃত্য-গীত, নাটকসহ বিভিন্ন সাংকৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া বাওয়া প্রতি বছর অগাস্ট মাসে বাংলা কনসার্ট আয়োজন করে থাকে এবং এতে তারা বেশ সাড়া পান।
Bangladeshi Community; Bangla speaking community in Perth
Bangla speaking children in Perth performing in a cultural program Source: Supplied
বাংলা ভাষা শিক্ষাকে আরো আনুষ্ঠানিকতা দিতে তারা একটা কারিকুলাম তৈরী করতে চান যাতে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শিক্ষার্থীরা বাংলাকে তাদের পাঠক্রমে গ্রহণ করতে পারে। তিনি বলেন, তারা ইতিমধ্যেই এমন একটি পাঠক্রম তৈরী করেছেন, তবে এটিকে আরো উন্নত করতে চান।

তবে সব কিছুই নির্ভর করছে অভিভাবকদের আগ্রহের ওপর।

তিনি পার্থের বাংলাভাষী কম্যুনিটির কাছে অনুরোধ করে বলেন, " বাংলা তাদের প্রাণের স্পন্দন, এজন্যই বাংলা স্কুলের প্রতিষ্ঠা। শিক্ষার্থীদের বাবামায়েরা যদি একটু কষ্ট করে তাদের অন্যান্য কমিটমেন্টের পাশাপাশি বাংলা স্কুলে সন্তানদের নিয়ে আসেন, তবেই আমাদের এই উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা সার্থক হবে। "

পুরো সাক্ষাতকারটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন

Share