সামোয়ায় কেমন আছেন বাংলাদেশী অভিবাসীরা

Samoa

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ সামোয়া। Source: Supplied / Shariful Islam

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাকইয়ার্ড হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির একটি হচ্ছে সামোয়া। বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে এগারো হাজার এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের এই দেশেও রয়েছে ছোট একটি বাংলাদেশী কম্যুনিটি। তাঁদের কয়েকজন কথা বলেছেন এসবিএস বাংলার সাথে। চলুন শোনা যাক, সেখানে কেমন আছেন তাঁরা।


ছোট-বড় অনেকগুলি দ্বীপ মিলে সামোয়া দেশটি গঠিত, তবে বেশিরভাগ মানুষই থাকেন বড় দুইটি দ্বীপে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে রাজধানী অ্যাপিয়া।

আয়তনে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডেলেইড শহরের চেয়েও ছোট, আর জনসংখ্যা দুই লক্ষের কিছু বেশি। এর মাঝেও সামোয়ায় রয়েছে অভিবাসী বাংলাদেশীদের ছোট একটি কম্যুনিটি।

তাদের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হবে না বলে জানালেন একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে সিনিয়র পরামর্শক হিসেবে কর্মরত শরীফুল ইসলাম। প্রায় সাত মাস ধরে সেখানে আছেন তিনি। এসবিএস বাংলাকে তিনি জানান, বিদেশীদের প্রতি সামোয়ার মানুষেরা বন্ধুভাবাপন্ন এবং অনেক উদার।
Shariful Islam in Samoa
সহকর্মীদের সঙ্গে বাংলাদেশী অভিবাসী শরীফুল ইসলাম। Source: Supplied / Shariful Islam
কম্যুনিটির সদস্য সংখ্যা এখনও অনেক কম, তাছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠিত সংগঠন নেই বলে বাংলাদেশী বিশেষ দিবস বা উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয় না, কিন্তু নিজেদের মধ্যে স্বল্প আয়োজন চলে।

সেখানে প্রায় ১৪ বছর ধরে রয়েছেন শাহজাহান বিল্লাল। তিনি একজন ব্যবসায়ী, অংশীদারদের সাথে মিলে গাড়ির ডিলারশিপের ব্যবসা করেন তিনি।

তিনি জানান, বিদেশী বলে ধর্ম-পালনে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি কাউকে। সবেমাত্র রমজান মাস গেল, সবাই মিলে নির্বিঘ্নে রমজান, ইফতার কিংবা ঈদের আয়োজন করেছেন তারা।
সেখানকার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ প্যাসিফিকের এগ্রিকালচার বিভাগের প্রধান হিসেবে রয়েছেন একজন বাংলাদেশী অধ্যাপক আব্দুল কাদের।

তিনি জানান, কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশের সাথে সামোয়ার সরাসরি কোনো অংশগ্রহণ এখনও নেই, তবে ভবিষ্যতে সেই সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এই অংশগ্রহণ অনেক নিয়মিত বলে জানান তিনি। অস্ট্রেলিয়ার সাথে সামোয়ার সম্পর্ক নিয়ে একই কথা জানালেন শরীফুল ইসলাম।
samoan natural beauty
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ সামোয়া। Source: Supplied / Shariful Islam
সেখানে বড় হওয়া বাংলাদেশী শিশুদের শিক্ষা-ব্যবস্থা কেমন? শাহজাহান বিল্লাল জানালেন, শিক্ষার মান সেখানে অত্যন্ত উন্নত।

অভিবাসন গন্তব্য হিসেবে খুব চাহিদাসম্পন্ন এখনও নয় সামোয়া, কারণ চাকরি বা ব্যবসার সুযোগ এখনও অনেক সীমিত। বিস্তারিত জানালেন শরীফুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, সামোয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বন্ধুভাবাপন্ন মানুষ মিলে এটিকে করে তুলেছে একটি শান্তির দেশ।

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারে ক্লিক করুন।

Share