কর্মক্ষেত্রে অভিবাসীদের দক্ষতা কাজে লাগালে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি বছরে ৬ বিলিয়ন ডলার বাড়বে

Sydney pedestrians

Sydney pedestrians Source: AAP

অভিবাসীরা যেসব বিষয়ে দক্ষ সেসব ক্ষেত্রে তারা কাজ করছেন না। নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের বর্তমান কর্মক্ষেত্র এবং তাদের দক্ষতার মধ্যে যে অসঙ্গতি রয়েছে, তা নিয়ে কাজ করা হলে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি বছরে ছয় বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাবে। কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, ইংরেজিভাষী নন এ রকম পটভূমির মাত্র ৬০ শতাংশ অভিবাসী তাদের দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ক্ষেত্রে কাজ করছেন।


কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদরা Household, Income and Labour Dynamics in Australia Survey থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে অভিবাসীদের দক্ষতার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কর্মক্ষেত্রের বিষয়টি নিরূপণ করেছেন।

এই সমীক্ষায় ২০০১ সালে থেকে প্রতিবছরে ১৭ হাজার অস্ট্রেলিয়ানের পরিবার-ভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়।

গবেষকরা দেখতে পান যে, মাত্র ৬০ শতাংশ অভিবাসী, যারা ইংরেজিভাষী নন এ রকম পটভূমি থেকে এসেছেন, তাদের অর্জিত দক্ষতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে তাদের বর্তমান কর্মক্ষেত্রের সঙ্গতি রয়েছে।

গবেষণা রিপোর্টটিতে দেখা গেছে, ইংরেজি যাদের প্রথম ভাষা নয় সে রকম দেশগুলো থেকে আগত ৪৮ শতাংশ অভিবাসীর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ডিগ্রি রয়েছে। এর বিপরীতে, অস্ট্রেলিয়ায় জন্মনেওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই হার ৩৩ শতাংশ।

অথর প্রফেসর অ্যালান ডানকান বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করা দরকার।

এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কোনো শিল্পে অভিবাসীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেলে তার সঙ্গে সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় জন্মনেওয়া কর্মীদের বেতনও বৃদ্ধি পায়।

The Federation of Ethnic Communities' Councils of Australia (FECCA) এই প্রতিবেদনটিকে স্বাগত জানিয়েছে।

এই গ্রুপটির সিইও মোহাম্মদ আল-খাফাজি বলেন, অভিবাসীদের এই সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে এবার সরকার ও নিয়োগদাতারা নজর দেবেন বলে তিনি আশা করেন।

এই প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম-নেওয়া কর্মীদের তুলনায় নন-ইংলিশ পটভূমির অভিবাসীদের মজুরি সাধারণত ৫.৫ শতাংশ কম।

মজুরি কম হওয়ার পেছনে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার বিষয়টির চেয়ে পদ্ধতিগত বিষয়টিই বেশি দায়ী।

মিস্টার আল-খাফাজি বলেন, এতে তিনি বিস্মিত হন নি।

ভিক্টোরিয়ার Migrant Workers Centre এর Matt Kunkel বলেন, অর্জিত দক্ষতার সঙ্গে বর্তমান কাজের অসঙ্গতির ক্ষেত্রে ভিসা সিস্টেম অনেকাংশে দায়ী।

FECCA এর সিইও আল-খাফাজি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সিস্টেমের জন্য কোনো কোনো অতি দক্ষ ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে চলে গেছেন।

প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share