কেবিনেট পেপার্স প্রকাশ: ২০০১ সালে কী ঘটেছিল?

Australia's Prime Minister in 2001, John Howard.

Australia's Prime Minister in 2001, John Howard. Source: SBS

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

২০০১ সাল, বিশ্বে আমূল পরিবর্তন আনয়নকারী একটি বছর। নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ার ধূলিসাৎ হয়েছিল সে-বছর নাইন-ইলেভেন-এ। অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্ব-রাজনীতিতে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সূচিত হয় নতুন এক যুগের। ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারের ঘটনার পর, মাত্র কয়েক সপ্তাহের মাঝে আফগানিস্তানে আক্রমণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর, অস্ট্রেলিয়াও যোগ দেয় সেই সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াইয়ে। ২০০১ সালে, সেই যুগ-সন্ধিক্ষণে, অস্ট্রেলিয়া সরকার কীভাবে সাড়া দিয়েছিল? এ নিয়ে কেবিনেট পেপার্সের বিরল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।


২০০১ সাল, যে বছর বিশ্বে আমূল পরিবর্তন সূচিত হয়।

কেবিনেট পেপার্স-এ এরপর বর্ণিত হয়েছে তৎকালীন ডিফেন্স মিনিস্টার পিটার রিথ-এর আহ্বান। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য প্রতিরক্ষা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
আর, ব্যক্তিগতভাবে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সন্ত্রাস-বিরোধী শক্তিশালী সাড়াকে সতর্ক করেন।

হাজার হাজার নথি-পত্র ঘেঁটেছেন ঐতিহাসিক ড. ক্রিস ওয়ালেস। সেই সময়ে সরকার কী করছিল সে সম্পর্কে তিনি বোঝার চেষ্টা করেন।

এর মাত্র কয়েক দিনের মাঝেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধে যোগ দেয় অস্ট্রেলিয়া।

দুই দশক আগে, আশ্রয়প্রার্থীরা যারা আমাদের ভূখণ্ডে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল, তাদের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও সবার নজরে ছিল।

উদ্ধারকৃত ৪০০ জন আশ্রয়প্রার্থীকে নিয়ে টাম্পা নামের একটি নৌযানকে নিকটস্থ ক্রিসমাস আইল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হয়। আর, এভাবে অস্ট্রেলিয়ার অফশোর ডিটেনশন যুগের সূচনা হয়।

তবে, এই নীতিমালা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ক্যাবিনেট পেপার্স এ বিষয়ে নীরব।

এ বিষয়ে মিস্টার হাওয়ার্ড এখন ব্যাখ্যা করেন যে, কেবিনেট রুমে এ বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনার সুযোগ ছিল না।

২০০১ সালের শেষের দিকে, টানা তৃতীয় বারের মতো নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন জন হাওয়ার্ড। তার তখনকার নির্বাচনী প্রচারণা এখন “খাকি ইলেকশন” নামে পরিচিত।

সেই নির্বাচনটি ছিল বিভেদ সৃষ্টিকারী; যার ফলে অস্ট্রেলিয়ায় কোনো কোনো গোষ্ঠীর মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং অভিবাসন নিয়ে ভীতির সৃষ্টি হয়।

নির্বাচনকে সামনে রেখে কেবিনেট রুমে বৃহত্তর অস্ট্রেলিয়া নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে পরিষ্কার অনাগ্রহ দেখা গেছে।

কেবিনেট পেপার্সে প্রকাশিত হয়েছে যে, সেই সময়ের ইমিগ্রেশন মিনিস্টার ফিলিপ রাডক একটি জাতীয় আলোচনার জন্য কেবিনেটের অনুমোদন নিতে বার বার চেষ্টা করেছেন। দক্ষ অভিবাসীদেরকে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনে আগ্রহী করার মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা এর উদ্দেশ্য ছিল।

এই পরিকল্পনা শিকেয় তুলে রাখে কেবিনেট। পপুলেশন ইস্যু নিয়ে কোনো ইনফরমেশন পেপার ইস্যু করতে নিষেধ করে কেবিনেট।

ড. ক্রিস ওয়ালেস বলেন, জনসংখ্যা নীতিমালা নিয়ে কাজ করতে অনেক উৎসাহী ছিলেন মিস্টার রাডক। ড. ক্রিস এই ঘটনাটিকে ‘একটি সুযোগ নষ্ট হওয়া’ বলে বর্ণনা করেন।

সে সময়ে নির্বাচনে পিছিয়ে থেকেও এবং জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে বলে ধারণা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও জন হাওয়ার্ড তার বিজয় নিশ্চিত করেন।

শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে এটা পরিষ্কার বোঝা গিয়েছিল যে, মিস্টার হাওয়ার্ডের নতুন মন্ত্রীসভায় স্যুট-টাইয়েরই আধিক্য ছিল।

ড. ক্রিস ওয়ালেস বলেন, কেবিনেট পেপার্স থেকে বোঝা যায় যে, সেখানে নারীদের উল্লেখ কতোটা কম ছিল।

মিস্টার হাওয়ার্ড বলেন, এটা ভাবা ‘ভুল’ ছিল যে, ফেডারাল সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার ফলে শুধু নারী বা পুরুষেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

২০ বছর পর, এখনও এসব রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর কোনো সমাধান হয় নি।

পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .


এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share