"অস্ট্রেলিয়ার কোভিড ১৯ ভ্যাক্সিন রোলআউট সম্পন্ন হলে অভিবাসন সংখ্যায় একটি বড় রকমের উল্লম্ফন ঘটবে"

Abogados de DD.HH en Australia exigen el fin de las restricciones de viajes para migrantes temporales y refugiados

Abogados de DD.HH en Australia exigen el fin de las restricciones de viajes para migrantes temporales y refugiados Source: AAP

করোনাভাইরাসের মহামারীর এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেলেও নতুন কিছু পরিবর্তন আসছে যেখানে ভবিষ্যতে কিছু সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্র্যাশন সংক্রান্ত যেসব সাম্প্রতিক পরিবর্তন এসেছে এবং সার্বিক বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করেছেন অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের লাইসেন্সেড ইমিগ্র্যাশন কনসালটেন্ট এবং এডু-এইডের সিইও মি: কাজী আহসান।


গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো

  • বিজনেস অভিবাসনের নয়টি ধারা ছিল, সেখান থেকে ৪টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। 
  • বাংলাদেশি কৃষি খাতের পেশাদার ডিগ্রিধারী এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা কৃষির বিভিন্ন পেশায় আবেদন করতে পারেন। 
  • অস্ট্রেলিয়া সরকারের ওপর বিভিন্ন মহলের চাপ আছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়া আসতে অনুমতি দেয়ার। 
মিঃ কাজি আহসান মনে করেন, কোভিড ১৯-এর প্রভাবে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আসবে। 

তিনি বলেন, নেট ওভারসীজ মাইগ্রেশন কমে গেছে এবং এতে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। তাছাড়া বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী সেবা, ট্যুরিজম ও আপ্যায়ন, কৃষি খাতের জন্য যে সংখ্যায় লোক প্রয়োজন তাতে স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী সংকট দূর করা সম্ভব নয়। 

মিঃ আহসান প্রত্যশা করছেন, অস্ট্রেলিয়ার ভ্যাক্সিন রোলআউট পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে গেলে এবং বর্ডার খুলে দিলে অভিবাসন সংখ্যা আবার স্বাভাবিক হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বিজনেস মাইগ্রেশনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর আগে বিজনেস অভিবাসনের নয়টি ধারা ছিল, সেখান থেকে ৪টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে এবং এই পরিবর্তনগুলো ইতিবাচক।

কর্মী সংকটের প্রসঙ্গে মিঃ আহসান বলেন, সাধারণত অস্থায়ী বা ওয়ার্কিং হলিডে ভিসাধারীরা অদক্ষ কর্মীদের জায়গাগুলো পুরন করতো। কিন্তু বর্তমানে এখানে একটি বিরাট শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তাছাড়া এখানে প্রায় ২০,০০০ লোক আছে যাদের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই।
Kazi Ahsan is an Immigration Consultant and CEO of Eduaid.
Kazi Ahsan is an Immigration Consultant and CEO of Eduaid. Source: Kazi Ahsan
তিনি বলেন, ফারমারস এসোসিয়েশন তাদের ইনডেমনিটি দেয়ার আহবান জানিয়েছে, এই প্রেক্ষিতে সরকার তাদের জন্য নতুন ভিসার ধারা আনতে চাচ্ছে, এরকম পরামর্শ আছে যে ইউএস মডেলের এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কার ভিসার কথাও ভাবা যায় কিনা। 

বাংলাদেশি কৃষি খাতের পেশাদার ডিগ্রিধারী এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা কৃষির বিভিন্ন পেশায় আবেদন করতে পারেন বলে মনে করেন মিঃ আহসান। তাছাড়া কেউ অস্ট্রেলিয়ায় কৃষি বিষয়ে ডিগ্রি নিলে ভবিষ্যতে তাদের অভিবাসনের সুযোগ থাকবে।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া সরকারের ওপর বিভিন্ন মহলের চাপ আছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়া আসতে অনুমতি দেয়ার, বিশেষ করে নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে চাপটা বেশি। 

মিঃ কাজি আহসান প্রত্যাশা করছেন অস্ট্রেলিয়ার ভ্যাক্সিন রোলআউট সম্পন্ন হলে অভিবাসনের ক্ষেত্রে একটি বড় রকমের উল্লম্ফন ঘটবে।

মিঃ কাজি আহসানের পুরো সাক্ষাতকারটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন। 

এসবিএস বাংলার রেডিও অনুষ্ঠান শুনুন প্রতি সোমবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং আরও খবরের জন্য আমাদের ফেইসবুক পেইজটি ভিজিট করুন।

আরো দেখুন:



 

 

 


Share