করোনাভাইরাসের জন্য বাজেটে অভিবাসন সংখ্যা আপাতত কম হলেও ২০২৩-২৪ সালে বেশ বাড়বে: ব্যারিস্টার আবু সিদ্দিক

Commuters are seen in Town Hall station during peak hour in Sydney, Tuesday, August 7, 2018. Australia's population is expected to hit 25 million on Tuesday evening. (AAP Image/Erik Anderson) NO ARCHIVING

The government cut the permanent migration cap in a bid to reduce congestion. Source: AAP

২০২১ সালের ফেডারেল বাজেটে ইমিগ্র্যাশন ক্যাপ আগের বছরের মতই রাখা হয়েছে, গুরুত্ব দেয়া হয়েছে অনশোর বা অস্ট্রেলিয়ার ভেতরের আবেদনকারীদের বিষয়ে। বাজেটে ইমিগ্র্যাশন নিয়ে কি রয়েছে তা বিশ্লেষণ করেছেন আইনি প্রতিষ্ঠান আবু লিগ্যালের কর্ণধার সলিসিটর এবং ব্যারিস্টার আবু সিদ্দিক।


গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো 

  • ২০২৩ এবং ২৪ অর্থবছরে মাইগ্র্যাশন ক্যাপ বছরে দুই লক্ষেরও উপরে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, অর্থাৎ ঋণাত্মক অভিবাসনকে পুষিয়ে নিতেই ক্যাপিং বাড়াতে হবে।
  • বাজেটে অনশোর বা অস্ট্রেলিয়ার ভেতরের আবেদনকারীদের সুবিধা বা প্রক্রিয়া শিথিল করা হচ্ছে। 
  • অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে মেধাবী পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করতে সরকার ২০২১ সালের বাজেটে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসার জন্য ৫৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। 
ব্যারিস্টার আবু সিদ্দিক বলেন, এ বছরের বাজেটে মাইগ্র্যাশন ক্যাপ আগের বছরের মতই রাখা হলেও নেট ওভারসিজ মাইগ্র্যাশন (NOM ) আরো অন্তত ৫০ ভাগ কমবে।

তিনি বলেন, "সরকারের কৌশল হচ্ছে কস্ট এফেক্টিভ মাইগ্র্যাশন বা সাশ্রয়ী অভিবাসন।"
Barrister Abu Siddque
Barrister Abu Siddque Source: Barrister Abu Siddque


তবে তিনি একটি সুখবর দেন যে ২০২৩ এবং ২৪ অর্থবছরে মাইগ্র্যাশন ক্যাপ বছরে দুই লক্ষেরও উপরে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, অর্থাৎ ঋণাত্মক অভিবাসনকে পুষিয়ে নিতেই ক্যাপিং বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, "করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের মত অস্ট্রেলিয়াও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই অর্থ বছরে পরিবর্তিত নীতিতে নতুন আগত অভিবাসীদের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বেনিফিট পেতে চার বছর অপেক্ষা করতে হবে, যা আগে ছিল দু'বছর। সরকার এই কৌশলটি সাশ্রয়ী ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করেছে।"
বাজেটে অনশোর বা অস্ট্রেলিয়ার ভেতরের আবেদনকারীদের সুবিধা বা প্রক্রিয়া শিথিল করা হচ্ছে বলে জানান মিঃ সিদ্দিক।

নতুন পরিবর্তনের মধ্যে আরেকটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হচ্ছে সাবক্লাস ৪০৮ ভিসা, যেটি মূলত কোভিড ১৯ সংকটের কারণে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের নতুন করে ভিসা আবেদনের জন্য ভিসার মেয়াদ শেষ হবার ৯০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে; আগে এই আবেদনের সময় ২৮ দিন।  

এই সুযোগটি আগে শুধু এগ্রিকালচার সেক্টরে দেয়া হতো, এখন ট্যুরিজম, হসপিটালিটি এবং হেলথ সেক্টরের জন্যও  শিথিল করা হয়েছে বলে জানান মিঃ আবু সিদ্দিক।
International students in Australia
Student visa holders working in this sector can now work additional hours. Source: Getty Images
তিনি জানান আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের সময়সীমা ২০ ঘণ্টা থেকে ৪০ বাড়ানোর দেয়া হয়েছিল ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি সেক্টরে, এখন এই সুবিধাটি এগ্রিকালচার এবং হেলথ সেক্টরেও দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। 

এই সুবিধা দেয়ার কারণ হিসেবে মিঃ সিদ্দিক বলেন, "সরকার প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিচ্ছে যে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন খাতে দক্ষ কর্মীর সংকট (স্কীল শর্টেজ) রয়েছে।"    

মিঃ  সিদ্দিক বলেন, প্যারেন্টস  মাইগ্র্যাশনের ক্যাপিং এবছরেই শুধু নয়,  আগামী বছরেও আরো কমিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা আছে যা অনেকের জন্যেই উদ্বেগের বিষয়।
ব্যারিস্টার আবু সিদ্দিক বাংলাদেশিদের জন্য গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসার বিষয়ে বেশ আশাবাদী। এই ভিসাটি উচ্চ পেশার জন্য এবং বাংলাদেশিদের এতে সাফল্যের দৃষ্টান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।  

অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে মেধাবী পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করতে সরকার ২০২১ সালের বাজেটে এই ভিসাটির জন্য ৫৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।
Migrant in Australia - Getty Images - JohnnyGreig.jpg
Migrant in Australia - Getty Images - JohnnyGreig.jpg Source: Getty Images - JohnnyGreig.jpg
ব্যারিস্টার আবু সিদ্দিক বলেন, "বাংলাদেশিরা মেধাবী, পরিশ্রমী এবং তাদের পড়াশোনা এবং ইংরেজিতে দক্ষতার কারণে এই ভিসায় আবেদনকারীদের সাফল্যও বেশি।"  

ব্যারিস্টার আবু সিদ্দিক অস্ট্রেলিয়ার বাইরে যারা আছেন তাদের ভিসার মেয়াদ যদি শেষ হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসে তারা যাতে দ্রুত রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসার (আরআরভি) জন্য আবেদন করেন, কারণ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অনেক সময় জটিলতার সৃষ্টি হয়।  

ব্যারিস্টার আবু সিদ্দিকের পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার রেডিও অনুষ্ঠান শুনুন প্রতি সোমবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং আরও খবরের জন্য আমাদের ফেইসবুক পেইজটি ভিজিট করুন।

Follow SBS Bangla on FACEBOOK.

আরো দেখুন:



 

 
 


Share