স্কিলড মাইগ্রেশন লিস্ট থেকে হেয়ারড্রেসার পেশা বাদ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

Club Barberhood in Sydney (Supplied)

Club Barberhood in Sydney. Source: Photo supplied by Club Barberhood

ফেডারাল সরকার যদি স্কিলস মাইগ্রেশন লিস্ট থেকে হেয়ারড্রেসিং পেশা বাদ দেয় তাহলে শত শত হেয়ারড্রেসিং সেন্টারে কর্মী-সঙ্কট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই খাতের নেতারা মনে করেন, এতে আনীত পরিবর্তনগুলোর কারণে নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে।


দি অস্ট্রেলিয়ান হেয়ারড্রেসিং কাউন্সিল বলছে, ফেডারাল সরকার যদি স্কিলস মাইগ্রেশন লিস্ট থেকে হেয়ারড্রেসিং পেশা বাদ দেয় তাহলে এই খাতের ছোট ছোট ব্যবসাগুলো বিপাকে পড়বে এবং শত শত লোক কাজের সুযোগ হারাবে।

কাউন্সিল বলছে, সিডনি, মেলবোর্ন এবং ব্রিসবেনে এ পেশায় কর্মরত ৪৪৮ জন অভিবাসীকে তাদের বিদ্যমান ভিসার মেয়াদ শেষ হলে দেশে ফেরত যেতে বাধ্য করা হবে।

সিইও স্যান্ডি চোঙ আশঙ্কা করছেন যে, সরকার ইতোমধ্যে মনস্থির করে ফেলেছে।

মিজ চোঙ বলেন, যোগ্য অস্ট্রেলিয়ান হেয়ারড্রেসার এবং বারবারদেরকে কাজে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই খাত সংগ্রাম করছে। কারণ, শিক্ষানবিশী সম্পন্ন করাদের মধ্যে মাত্র ২৮ শতাংশ এখানকার স্থানীয় ব্যক্তি।

সিডনিতে রিনি বোল্টভের দি বারবারহুড নামে দুটি বারবার শপ রয়েছে। তিনি বলেন, তিনি তার ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু, তিনি এখন আশঙ্কা করছেন যে, এর জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী সংগ্রহ করতে পারবেন না।

ফেডারাল সরকার বলছে, সিডনি, মেলবোর্ন এবং ব্রিসবেনে অবস্থিত ব্যবসাগুলো অভিবাসী কর্মীদেরকে স্পন্সর করার জন্য আবেদন করতে পারবে এবং লেবার এগ্রিমেন্ট বা শ্রম চুক্তির মাধ্যমে তাদেরকে নিয়োগ করতে পারবে।

তবে,  ছোট ছোট ব্যবসার জন্য এটি সুবিধাজনক নয় বলে মনে করেন মিজ বোল্টভ। কারণ, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আর্থিক এবং আইনী দিকগুলো সম্পর্কে জানার সুবিধা তাদের অনেকেরই নেই।

দি বারবারহুডে কাজ করেন ব্রিটিশ অভিবাসী রাফ থিওডুলু। তিনি তার বাগদত্তাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এখন তিনি এ দেশে ছেড়ে ফেরত যেতে চান না।

মাইগ্রান্ট রিসোর্স সেন্টারের সিইও মেলিসা মন্টেরিও বলেন, স্কিলস মাইগ্রেশন লিস্ট থেকে হেয়ারড্রেসিং বাদ দেওয়ার বিষয়টি সরকার পুনর্বিবেচনা করবে বলে তিনি আশা করেন।

প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share