কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা: ইস্টারের জন্য কিছুটা ছাড় পাচ্ছে ধর্মীয় স্থানগুলো

A parishioner lights a candle during an Easter service.

A parishioner lights a candle during an Easter service. Source: AAP

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, একটি ইন্ডাস্ট্রি কোড অফ প্র্যাকটিস নিয়ে কাজ করছে তার সরকার। কমার্শিয়াল ল্যান্ডলর্ড ও টেনান্টদের, অর্থাৎ, বাণিজ্যিক বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটেদের মধ্যকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে এর উদ্দেশ্য। অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব কীভাবে কাটিয়ে উঠা যায়, তা নিয়ে ন্যাশনাল কেবিনেটে অন্যান্য বিভিন্ন ইস্যুর সঙ্গে এটিও আলোচিত হয়।


প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন চান, আগামী মঙ্গলবার সকালের মধ্যে রিটেইল রিয়েল এস্টেট ইন্ডাস্ট্রি একটি বাধ্যতামূলক কোড অফ প্যাকটিস তৈরি করুক।

করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ায় কমার্শিয়াল টেনান্ট এবং মালিকদেরকে সহায়তা করতে এই উদ্যোগ।

তিনি বলেন, একটি বাধ্যতামূলক কোড অফ প্র্যাকটিস মালিক এবং ভাড়াটেদেরকে তাদের মধ্যকার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে।

শুক্রবার নতুন কিছু পদক্ষেপের কথাও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এই বৈশ্বিক মহামারী থেকে রুরাল এবং রিজিওনাল অস্ট্রেলিয়ানদেরকেও সুরক্ষা প্রদানের জন্য ওয়ার্কিং হলিডে মেকারসদের জন্য তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন।

ব্যাকপ্যাকার্সদের প্রতি তিনি সোশাল ডিস্টেন্সিং বা জন-দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি লোকদেরকে সতর্ক করেন যে, গ্রামাঞ্চলে ক্যাম্পারভ্যান নিয়ে দল-বেঁধে ভ্রমণ করা যাবে না।

তিনি আরও যোগ করেন যে, ফার্মে ভ্রমণ করা লোকদের জন্য, যারা সেখানে ফল পাড়তে এবং অন্যান্য কাজের জন্য গিয়েছেন, তাদেরকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো প্রতিহত করতে, ১৪ দিনের জন্য অবশ্যই সেল্ফ-আইসোলেশনে যেতে হবে।

মিস্টার মরিসন আরও ঘোষণা করেন যে, প্লেস অফ ওরশিপ বা ধর্মীয় স্থানগুলোতে ইস্টার সার্ভিসের জন্য অনলাইনে স্ট্রিম করার সুযোগ দেওয়া হবে এবং তাদেরকে কিছুটা ফ্লেক্সিবিলিটি বা ছাড় দেওয়া হবে। তবে, তাদেরকে অবশ্যই সোশাল ডিস্টেন্সিং অনুসরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, এর অর্থ হলো, চার্চগুলোতে একজন ক্যান্টর এবং অন্যান্য সহকারী, যেমন, প্রিস্ট এবং মিনিস্টার কাজ করতে পারবেন।

চিফ মেডিকেল অফিসার ব্রেন্ডান মার্ফি বলেন, তিনি মনে করেন, বিশ্বে রিপোর্ট হওয়া করোনা-আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যার প্রায় ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি লোক এতে আক্রান্ত হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ১ মিলিয়নের চেয়েও বেশি লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতালি, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যে এর সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি।

প্রফেসর মার্ফি বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় কিছু কেস এমন থাকতে পারে যা শনাক্ত করা হয় নি। তবে, এ দেশটিতে টেস্টের হার অনেক বেশি। কর্তৃপক্ষ এ সম্পর্কে সচেতন।

তবে তিনি বলেন, এ কথা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো সম্পর্কে বলা যায় না।

গত বৃহস্পতিবার ফেডারাল সরকার চাইল্ডকেয়ার খাতে ১.৬ বিলিয়ন ডলারের যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে এই খাতটি।

ফেডারাল সরকারের চাইল্ডকেয়ার প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় ১৩ হাজার চাইল্ডকেয়ার সেন্টারকে সহায়তা করা হবে। তাদের অপারেটিং খরচের কমপক্ষে অর্ধেক অর্থ প্রদান করবে সরকার। এটি ৬ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হবে।

করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে অপরিহার্য পরিষেবা প্রদানকারী অভিভাবকদের সন্তান এবং অসহায় সন্তানদেরকে এই পরিষেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।

ব্লুবার্ড চাইল্ড কেয়ার এর জেন চ্যাম্বারস বলেন, সরকারের এই প্যাকেজ এবং জবকিপার পেমেন্টর মাধ্যমে তিনি উপকৃত হবেন।

করোনা-সঙ্কটের সময়ে অ্যাবিউসিভ সম্পর্কের শিকারদেরকে সহায়তা করতে অস্ট্রেলিয়ার ই-সেফটি কমিশনার অনলাইন গাইডলাইন্স বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছেন।

ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকারদেরকে নিরাপত্তার সঙ্গে সহায়তা প্রদান করা চালিয়ে যেতে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের জন্য ট্রেইনিং টুলস-ও রাখা হয়েছে এই নির্দেশিকায়।

ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট বলেন, কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞার কারণে মানুষ ঘরে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছে। এই সময়টিতে অ্যাবিউসিভ রিলেশনশিপ যাদের রয়েছে, তাদের জন্য দুর্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেন্টারলিংক ডেট রেইজিং অ্যান্ড রিকভারির ক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য বিরতি ঘোষণা করেছেন গভার্নমেন্ট সার্ভিসেস মিনিস্টার স্টুয়ার্ট রবার্ট।

জবসিকারদের জন্য সরকার এর আগে মিউচুয়াল অবলিগেশন অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো বাতিল করেছিল। তবে, মিস্টার রবার্ট বলেন, এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে তথাকথিত “রোবো-ডেট” ফান্ড আদায় করাও বন্ধ করা হবে।

তিনি বলেন, এই বিরতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে না। বিদ্যমান ঋণ পরিশোধকারী ব্যক্তিদেরকে সার্ভিসেস অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ানদেরকে অবশ্যই পরস্পরের মাঝে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্যদের সঙ্গে হলে দু’জনের বেশি একত্রিত হওয়া যাবে না।

আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাহলে আপনার ডাক্তারকে কল করুন। ডাক্তারের কাছে যাবেন না। আপনি ন্যাশনাল করোনাভাইরাস হেলথ ইনফরমেশন হটলাইনেও কল করতে পারেন এই নম্বরে: 1800 020 080 

আপনার যদি শ্বাস-কষ্ট কিংবা মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, তাহলে 000 নম্বরে কল করুন। 

আপনার ভাষায় কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ আপডেট জানাতে এসবিএস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ৬৩ টি ভাষায় এ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য পাবেন। ভিজিট করুন: 

বাংলায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক আমাদের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ভিজিট করুন:

Follow SBS Bangla on .

Share