সুদের হার ভবিষ্যতে আবারও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক

PHILIP LOWE PRESS CLUB

Reserve Bank of Australia Governor Philip Lowe speaks during a National Press Club address in Sydney. Source: AAP / BIANCA DE MARCHI

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

সুদের হার বৃদ্ধি স্থগিত করার ব্যাপারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তে বাড়ির মালিকরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার গভর্নর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে তিনি আবারও সুদের হার বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত রয়েছেন। ফিলিপ লোও বলেছেন, বাসাবাড়ির অতিরিক্ত ভাড়া এর পেছনে আংশিকভাবে দায়ী।


রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার গভর্নর এমন একটি খবর দিয়েছেন যা অস্ট্রেলিয়ান ভাড়াটেদের চিন্তামুক্ত করতে পারছে না।

তিনি জানিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান বাড়ি-ভাড়া খুব সহসাই থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে এক ভাষণে গভর্নর ফিলিপ লোও বলেন, রিজার্ভ ব্যাংক দ্রুত ক্রমবর্ধমান বাড়ি-ভাড়া এবং উচ্চ জ্বালানি মূল্যের দিকে মনোনিবেশ করছে, কারণ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে এ দুটি ব্যাপারই গুরুত্বপূর্ণ।

কোরলজিক থেকে পাওয়া নতুন পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে জাতীয় পর্যায়ে ভাড়া বৃদ্ধির হার গত ডিসেম্বর মাসের দুই শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে ২ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

যার ফলে এই হার বার্ষিক ১০ দশমিক ১ শতাংশে উঠে আসে।

এর মানে হচ্ছে প্রতিটি পরিবারে সপ্তাহে অতিরিক্ত ৫২ ডলার, বা বছরে ২ হাজার ৭০০ ডলারের সমান ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিডনিতে ভাড়াটেরা বলছেন যে আকাশছোঁয়া ভাড়া, এবং ভাড়ার জন্যে বাড়ি খুঁজে পাওয়া দুইই এখন তাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ।
কিন্তু সিডনিতে প্লাম্বার হিসেবে কর্মরত লুসি কিংটনের মতো বাড়িওয়ালারা সুদের হার বৃদ্ধির ফলে তাদের মর্টগেজ পরিশোধের সময় সেই চাপ অনুভব করছেন এবং তারা মনে করেন যে এই চাপের কিছুটা ভাড়াটিয়াদের উপরে দিয়ে দেয়া ছাড়া তাদের হাতে আর কোনো উপায় নেই।

কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ মনে করছেন যে সুদের হার যতটুকু বৃদ্ধি পাওয়া প্রয়োজন ছিল তা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে।

ব্যারেনজোয় ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের চিফ ইকোনোমিস্ট জো মাস্টার্স বলেন, “আমরা ধারণা করছি এ বছর হয়ত একটি রিসেশন বা মন্দা দেখা দিতে পারে এবং এ কারণেই রিজার্ভ ব্যাংক আর সুদের হার বাড়াবেনা।“

কিন্তু আরবিএ প্রধান ফিলিপ লোও বলেছেন, ২০২৫ সালের মে মাসের আগে মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নেমে আসবে বলে তিনি মনে করছেন না, এবং এ কারণেই সুদের হার আবারও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা অমূলক নয়।

তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে সুদের হার বৃদ্ধির এই বিরতি বা এর ফলে আসা স্বস্তি, দুটিই হয়ত ক্ষণস্থায়ী হতে পারে।

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।

রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 


Share