কতিপয় অস্থায়ী ভিসাধারীকে দেশে ফিরে যেতে বলল অস্ট্রেলিয়া সরকার

করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে বিপাকে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা। তাদেরকে সহায়তা করতে সরকার তাদেরকে সুপারঅ্যানুয়েশন ফান্ড থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে এতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের তেমন একটা উপকার হবে না বলে মনে করছে অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস। মিস্টার টাজ এক বিবৃতিতে বলেন, “যে-সব অস্থায়ী ভিসাধারী এ রকম ব্যবস্থায় আগামী ছয় মাসের জন্য চলতে পারছেন না তাদেরকে জোরালোভাবে ঘরে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে।”

Olena Nguyen says she doubts whether accessing superannuation would be enough to help international students navigate the economic fallout from COVID-19.

Olena Nguyen says she doubts whether accessing superannuation would be enough to help international students navigate the economic fallout from COVID-19. Source: Supplied

করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অর্থনীতিতে তীব্রভাবে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এমতাবস্থায়, অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানকারী দুই মিলিয়ন অস্থায়ী ভিসাধারীদের উদ্দেশে অস্ট্রেলিয়ান সরকার বলছে, তাদের উচিত যতো দ্রুত সম্ভব “ঘরে যাওয়া”।

অ্যাক্টিং ইমিগ্রেশন মিনিস্টার অ্যালান টাজ বলেন, প্রত্যাশা সবসময় এটাই ছিল যে, অস্থায়ী ভিসাধারীরা তাদের নিজেদের ব্যবস্থা নিজেরাই করতে পারবে এবং তারা অস্ট্রেলিয়ায় সরকারী সহায়তার উপর নির্ভর করবে না।
মিস্টার টাজ এক বিবৃতিতে বলেন,

“যে-সব অস্থায়ী ভিসাধারী এ রকম ব্যবস্থায় আগামী ছয় মাসের জন্য চলতে পারছেন না তাদেরকে জোরালোভাবে ঘরে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে।”

“সে-সব ব্যক্তির জন্য ঘরে ফেরার এটাই সময় আর তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব এ ব্যবস্থা করতে হবে।”

মিস্টার টাজ আরও ঘোষণা করেন যে, এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা তাদের অস্ট্রেলিয়ান সুপারঅ্যানুয়েশন সঞ্চয় ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া, যেভাবে আগে ঘোষণা করা হয়েছে, তারা সপ্তাহে অতিরিক্ত ২০ ঘণ্টা কাজও করতে পারবেন।

অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস এর ওলেনা নুয়েন ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির সোশাল ওয়ার্ক এর শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, বহু আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা এদেশে এসেছেন বেশি দিন হয় নি। সুপারঅ্যানুয়েশন ফান্ডে তাদের তেমন একটা সঞ্চয় জমে নি এবং তারা বেশি সময় কাজও করতে পারেন না। এসবিএস নিউজকে তিনি বলেন,

“আমি নিশ্চিত নই যে, এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট কিনা। এই সময়টিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি অসহায় অবস্থায় রয়েছে। আমাদের সাহায্যের দরকার।”
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফিজ কমানোর আহ্বান জানান তিনি। যারা ইতোমধ্যে পুরো ফিজ পরিশোধ করেছে তাদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। আর, এই দুঃসময়ে শিক্ষার্থীদেরকে ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকেও সহায়তা করার অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যদি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়, তাহলে তারা যেন বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা লাভ করে।

মিস্টার টাজ বলেন, ফি কমানোর জন্য ইউনিভার্সিটি সেক্টরের সঙ্গে আলোচনা করেছে ফেডারাল সরকার।

“আন্তর্জাতিক শিক্ষা খাতের সঙ্গে আরও কথাবার্তা বলবে সরকার। কষ্টে নিপতিত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরকে তারা ইতোমধ্যে কিছু আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।”
“যেমন, আমরা বুঝি যে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরকে কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফি ডিসকাউন্ট দিচ্ছে।”
অস্ট্রেলিয়ানদেরকে অবশ্যই পরস্পরের মাঝে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্যদের সঙ্গে হলে দু’জনের বেশি একত্রিত হওয়া যাবে না।

আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাহলে আপনার ডাক্তারকে কল করুন। ডাক্তারের কাছে যাবেন না। আপনি ন্যাশনাল করোনাভাইরাস হেলথ ইনফরমেশন হটলাইনেও কল করতে পারেন এই নম্বরে: 1800 020 080 

আপনার যদি শ্বাস-কষ্ট কিংবা মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, তাহলে 000 নম্বরে কল করুন। 

আপনার ভাষায় কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ আপডেট জানাতে এসবিএস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ৬৩ টি ভাষায় এ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য পাবেন। ভিজিট করুন: 

বাংলায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক আমাদের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ভিজিট করুন:

Follow SBS Bangla on .


Share
Published 6 April 2020 2:59pm
Updated 6 April 2020 7:16pm
By Jarni Blakkarly
Presented by Sikder Taher Ahmad
Source: SBS News


Share this with family and friends