অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোয় বিপাকে পড়েছে অভিবাসী কর্মীরা

An empty street in China Town, Adelaide

A wide shot showing an empty street in China Town, Adelaide. Source: AAP

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

চীন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসা লোকজনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কারণ, হুবেই প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়ছে।


ফেডারাল সরকার বলছে, তারা দেশের শীর্ষ চিকিৎসদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করছে।

তবে,  ইউনিয়নগুলি বলেছে যে, এই মেয়াদ বাড়ানোটা  অস্থায়ী অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বিপর্যয়কর এবং অন্যায্য।

চীনের করোনাভাইরাস প্রাদূর্ভাবের কেন্দ্রস্থলে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪২ জন মারা যাওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছে, COVID-19 এর কারণে জনস্বাস্থ্য সঙ্কট খুব সহসা কাটিয়ে উঠা যাবে না।

আর এর ফলে ফেডারাল সরকার চীনা নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাকে আরো সাত দিন বাড়িয়ে দিয়েছে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা শনিবার  শেষ হওয়ার কথা ছিল।

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার চিফ মেডিক্যাল অফিসারদের পরামর্শ অনুযায়ী সরকার কাজ করছে। এই পরামর্শ হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতি সপ্তাহে এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো এবং  প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবো।

অন্যদিকে, ইউনিয়নগুলো সরকারকে অভিযুক্ত করে বলছে, সরকার অযৌক্তিকভাবে চীনে অবস্থানকারী টেম্পোরারি মাইগ্রান্ট ভিসাধারীদের টার্গেট করেছে।তাদেরকে অস্ট্রেলিয়ায় কাজে ফিরতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

Migrant Workers Centre এর Director Matt Kunkel SBS কে বলেন, এই কর্মীরা খুব কষ্ট করছে। আরও সাতদিনের নিষেধাজ্ঞার মানে হলো আরো সাত দিন তারা কাজে যোগ দিতে পারবে না, বলেন তিনি। 

Mr Kunke বলেন, এই কর্মীরা অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মোট জনশক্তির দশ শতাংশই অস্থায়ী অভিবাসী এবং তাদের বেশিরভাগই চীন থেকে আসে।

হুবাইয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন,  ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ২৪২ জন মারা গেছে।

সর্বশেষ পরিসংখানে দেখা গেছে, ডিসেম্বরের পর থেকে প্রতিদিনের মৃত্যুর হার দ্রুত বাড়ছে ওই প্রদেশে। মৃত্যুর সংখ্যা এখন প্রায় ১৪০০ এর কাছাকাছি পৌঁছেছে।

তবে অস্ট্রেলিয়ায়, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সতর্ক করে দিচ্ছেন। কারণ, চাইনিজ রেস্তোঁরাগুলিতে খরিদ্দার সংখ্যা অনেক কমে গেছে।

মেলবোর্নের একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ভেন্যু ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসায়ের পরে বন্ধ হয়ে গেছে।

শার্ক ফিন হাউস বলছে, তাদের ব্যবসা ৮০ শতাংশ কমেছে। এর মালিক চায়না টাউন ভেন্যুতে তার আরেকটি ব্যবসা, শার্ক ফিন ইন নিয়েও উদ্বিগ্ন।

নিউ সাউথ ওয়েলসের হেলথ প্রটেকশনের একজিকিউটিভ ডাইরেক্টর Dr Jeremy McAnulty ভোক্তাদের চাইনিজ রেস্তোঁরায় যাওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রেস্তোঁরা এবং অন্যান্য সেবাগুলো আসলেই নিরাপদ।

তবে এটা একটা ভালো সংবাদ যে, করোনাভাইরাস, যাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ বলছে, নিউ সাউথ ওয়েলসে সর্বশেষ যার মধ্যে এই ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে, সেই ৪৩ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এখন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share