সেটেলমেন্ট গাইড: অস্ট্রেলিয়ায় গণমাধ্যম যেভাবে কাজ করে

SBS and ABC

The ABC and the SBS are Australia's national public broadcasters. Credit: AAP Image/Joel Carrett

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

একটি দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং বৈচিত্র্যময় গণমাধ্যম - যেখানে নাগরিক ও সাংবাদিকদের ক্ষমতাসীন সরকারের হস্তক্ষেপ বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই নিজেদের মতামত দেয়ার, তথ্য পাওয়ার এবং প্রকাশ করার ক্ষমতা রয়েছে।


গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
  • অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সূচকে শীর্ষ ৪০ টি দেশের মধ্যে রয়েছে
  • অস্ট্রেলিয়া সরকার দুটি পাবলিক সার্ভিস সম্প্রচার সংস্থা এবিসি এবং এসবিএসকে অর্থায়ন করে
  • অস্ট্রেলিয়ায় দুটি বৃহৎ বেসরকারী মিডিয়া কোম্পানি হচ্ছে নিউজ কর্পোরেশন এবং সেভেন ওয়েস্ট মিডিয়া
যদিও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা হয়নি, তবে অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সূচকে শীর্ষ ৪০ টি দেশের মধ্যে রয়েছে।

এই সেটেলমেন্ট গাইডের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, একটি দেশের গণতন্ত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা কী? অস্ট্রেলিয়ায় বাণিজ্যিক গণমাধ্যম এবং সরকারী অর্থায়নের সম্প্রচার সংস্থাগুলো কতটা আলাদা? এবং এর সাথে অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালিত গণমাধ্যম থেকেই বা এটি কতটা আলাদা?

অস্ট্রেলিয়ায় ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বাণিজ্যিক মিডিয়া এবং স্পনসরড কমিউনিটি নেটওয়ার্কসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া আউটলেট রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া সরকার দুটি পাবলিক সার্ভিস সম্প্রচার সংস্থাকে অর্থায়ন করে: এর একটি হল অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এবিসি) এবং বিশেষ সম্প্রচার পরিষেবা (স্পেশাল ব্রডকাস্টিং সার্ভিস বা এসবিএস)।

বেসরকারী মূলধারার মিডিয়াগুলো মুনাফা এবং রেটিং পেতে কনটেন্ট তৈরি করে। তারা তাদের বাণিজ্যিক স্পনসরদের কাছে জবাবদিহি করে। বিপরীতে, পাবলিক ব্রডকাস্টারগুলো কমুউনিটির কাছে দায়বদ্ধ যাদের কর থেকে পাওয়া রাজস্ব থেকে তাদের অর্থায়ন করা হয়।

পাবলিক মিডিয়া অ্যালায়েন্সের সিইও ক্রিস্টিয়ান পোর্টার পাবলিক মিডিয়া আউটলেটগুলোর বৃহত্তম বৈশ্বিক সংস্থা, যেটি পাবলিক মিডিয়া এবং সাংবাদিকতার মূল মূল্যবোধের পক্ষে।

তিনি বলেন যে জনসাধারণকে সঠিক তথ্য জানানো পাবলিক ব্রডকাস্টারদের জন্য বাধ্যতামূলক।
পাবলিক মিডিয়া আউটলেটগুলিরও প্রকাশ করা উচিত কীভাবে তাদের অর্থায়ন করা হয়, পরিচালিত হয় এবং কীভাবে তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে।

ওয়েন্ডি বেকন একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্মী এবং শিক্ষাবিদ। তিনি দুই দশক ধরে ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি সিডনিতে (ইউটিএস) সাংবাদিকতার অধ্যাপক ছিলেন।

তিনি বলেন পাবলিক মিডিয়া বিভিন্ন কমিউনিটির কথা এবং অনুষ্ঠান সম্প্রচারের একটি প্ল্যাটফর্ম যা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন চাহিদা এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে। এটা রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার বিপরীত।

অধ্যাপক বেকন যোগ করেন যে পাবলিক মিডিয়ার অবশ্যই সম্পাদকীয় স্বাধীনতা, সরকার এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলকে সমালোচনা করার স্বাধীনতা থাকতে হবে। এর মানে হল সম্প্রচারকারীরাই সিদ্ধান্ত নেবে তারা কোন সংবাদটি রিপোর্ট করবে এবং কিভাবে করবে।

কর্তৃত্ববাদী শাসকদের দেশে মিডিয়া রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত হয় এবং সেখানে মিডিয়া সরকার-বান্ধব, জাতীয়তাবাদী বিষয়বস্তু প্রকাশ করে যা সাধারণ বিষয়।

পাবলিক মিডিয়া গণতন্ত্রের একটি স্তম্ভ, কারণ এটি জনগণের জন্য বিতর্কের পরিবেশ এবং স্বচ্ছতাকে উৎসাহিত করে।
SBS Radio im Jahr 2015
SBS office in Melbourne. Source: SBS / SBS
নেজাত বাসার এসবিএস টার্কিশের নির্বাহী প্রযোজক। অস্ট্রেলিয়ায় এসবিএস রেডিওতে কাজ করার আগে তিনি তুরস্কে সাংবাদিক ছিলেন।

তিনি বলেন, দেশটিতে সরাসরি রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার মাধ্যমে বা ব্যক্তি মালিকানাধীন মূলধারার মিডিয়ার মাধ্যমে যা রিপোর্ট করা হয় তার উপর সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

মিঃ বাসার ব্যাখ্যা করে বলেন যে তুরস্কের সাংবাদিকরা যদি সরকারের বিরোধিতা করার চেষ্টা করে তবে তারা গুরুতর হুমকির সম্মুখীন হবে।

"তুরস্ক একটি আইন পাস করেছে যেখানে মিথ্যা প্রচার বেআইনি, তাই যে কোনো সাংবাদিক যদি কোন প্রতিবেদন তৈরী করে আর তা যদি সরকারের কাছে মিথ্যা বলে বিবেচিত হয় তবে তাকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।"

তিনি বলেন, তুরস্ক এবং অস্ট্রেলিয়ায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মধ্যে পার্থক্য খুবই প্রকট।

"অস্ট্রেলিয়ায় আমরা সরকারকে তার কর্মকান্ডের জন্য জবাবদিহি করতে বলতে পারি, তুরস্কে এমন কিছু নেই। অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া আইন খুব কঠোর, তবে এই নিয়ম আপনার সংবাদের বিষয়বস্তুর সীমা নির্ধারণ করে না এবং আপনি কী কভার করতে পারেন এবং কী পারেন না, তাও বলে দেয় না", বলেন তিনি।

এর মানে এই নয় যে অস্ট্রেলিয়ান পাবলিক ব্রডকাস্টাররা বাহ্যিক চাপ সহ্য করে না।

অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের সংবাদ, বিশ্লেষণ এবং তদন্তের প্রাক্তন পরিচালক, গ্যাভেন মরিস ব্যাখ্যা করে বলেন, "সরকারের মধ্যে এমন লোক আছে যারা মনে করে পাবলিক মিডিয়া সংস্থার জন্য তহবিল দিলে তাদের উচিৎ নয় সরকারের সমালোচনা করা, বা তাদের উচিত সরকারের নীতি বা নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে সরকারের অবস্থানের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।"
তাই জনগণ এবিসি এবং এসবিএস থেকে কী প্রত্যাশা করতে পারে?

উভয় পাবলিক ব্রডকাস্টার তাদের পৃথক চার্টার, সম্পাদকীয় নীতি এবং কোড অফ প্র্যাক্টিস দিয়ে পরিচালিত হয়, যা তাদের বিষয়বস্তু ন্যায্য এবং ভারসাম্যপূর্ণ হতে বাধ্য করে।

এবিসি বৃহত্তর সম্প্রচার সংস্থা। তাদের কয়েক ডজন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ব্যুরো আছে, এবং প্রতিটি অস্ট্রেলিয়ান স্টেটের রাজধানী শহরে অফিস এবং স্টুডিও রয়েছে। বিভিন্ন শ্রোতা-দর্শকদের জন্য এটির রেডিও স্টেশন এবং টিভি চ্যানেল রয়েছে। এর মধ্যে সংবাদ এবং শিশুদের বিষয়বস্তুর জন্য নিবেদিত টিভি চ্যানেল রয়েছে।

এবিসি জরুরী অবস্থা বা দুর্যোগের সময় কমিউনিটিকে নানা তথ্য দিয়ে অবহিত রাখে। এসময় এটি জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পর্কে তথ্য দেয়, সঙ্কটের সময় সতর্কতা এবং আপডেট সম্প্রচার করে এবং সংকট কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা সম্পর্কেও অবহিত করে।

গেভেন মরিস উদাহরণ দিয়ে বলেন, "সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এবিসি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণগুলো নিয়ে তথ্য প্রচার করেছে।"

এদিকে এসবিএস হল অস্ট্রেলিয়ার বহুসংস্কৃতি এবং বহুভাষিক জাতীয় পাবলিক ব্রডকাস্টার। এর টেলিভিশন চ্যানেলগুলির মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং, সেইসাথে ইংরেজি এবং অন্যান্য অসংখ্য ভাষায় সংবাদ প্রচার। এটি ইংরেজীর বাইরে অন্যান্য ভাষা-ভাষীদের জন্য তাদের নিজ দেশ থেকে পাওয়া তথ্য এবং বিনোদনের সংবাদ প্রচার করে।
Journalists protest the murder of photojournalist Ruben Espinosa Becerril
Journalists protest the murder of photojournalist Ruben Espinosa in Mexico (File image). (Marco Ugarte|AAP) Source: AAP / AAP
এসবিএস-এর একটি চ্যানেল হল এনআইটিভি (NITV), যা অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় আদিবাসী টেলিভিশন। এর বিষয়বস্তু অস্ট্রেলিয়ার ফার্স্ট নেশনস দৃষ্টিকোণ থেকে প্রচারিত হয়।

ডেভিড হুয়া এসবিএস-এর অডিও ল্যাংগুয়েজ কন্টেন্টের পরিচালক। তার পরিচালনায় এসবিএস রেডিও ৬০টিরও বেশি ভাষায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।

তিনি বলছেন,"এসবিএস বহুসংস্কৃতি এবং বহুভাষিক অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য খুব স্বতন্ত্রভাবে নিবেদিত। এবিসি'র চার্টারে বহুসংস্কৃতির অস্ট্রেলিয়ানদের কথা নেই, তবে এসবিএসের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সেই চার্টারটির কথা হয়েছে।"

এসবিএস ১৯৭০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে আটটি ভাষায় সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা চালিত রেডিও পরিষেবা হিসাবে সম্প্রচার শুরু করে। অস্ট্রেলিয়ায় কীভাবে চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ গ্রহণ করা যায় সে বিষয়ে অভিবাসীদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল।

এসবিএস রেডিও তখন থেকেই বেশ ভালোভাবে প্রসারিত হয়েছে। এটি এখন অভিবাসীদের জন্য সেটেলমেন্ট গাইডসহ কয়েক ডজন ভাষায় ডিজিটাল সংবাদ এবং পডকাস্ট প্রকাশ করে।

ডেভিড হুয়া বলছেন,"এসবিএস অস্ট্রেলিয়ার শ্রোতাদের প্রয়োজনগুলি লক্ষ্য করে বিভিন্ন ভাষায় দরকারী তথ্য প্রচার করে। যেমন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার, আমলাতন্ত্র, স্কুল সিস্টেম, জরুরী ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়গুলি কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে ধারণা দেয়। ফলে নতুন অভিবাসীরা অস্ট্রেলিয়ায় তাদের জীবন শুরু করতে প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে থাকে।"

গণতান্ত্রিক দেশে মিডিয়ার বৈচিত্র্য নিশ্চিত করার জন্য বাণিজ্যিক গণমাধ্যমের ভূমিকাও অনস্বীকার্য।

পাবলিক এবং বাণিজ্যিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বকারী অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম ইউনিয়ন হল মিডিয়া, এন্টারটেইনমেন্ট এবং আর্টস অ্যালায়েন্স (MEAA); এর মিডিয়া বিভাগের পরিচালক ক্যাসি ডেরিক বলেন যে বাণিজ্যিক গণমাধ্যমের ভূমিকাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, যা জনগণের বক্তব্য এবং ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।

অধ্যাপক ওয়েন্ডি বেকন পাবলিক এবং বাণিজ্যিক উভয় আউটলেটে সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, যদিও কোন কোন বাণিজ্যিক মিডিয়া জনস্বার্থে উন্নত সাংবাদিকতা করে, তবে তাদের বেশিরভাগ বিষয়বস্তুগুলো নির্মিত হয় বিশাল শ্রোতাগোষ্ঠীকে আকর্ষণ করে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়াতে।
অধ্যাপক বেকন বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় দুটি বৃহৎ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বড় কোম্পানির মালিকানা রুপার্ট মারডকের নিউজ কর্পোরেশন। তাদের খবরের কাগজ, রেডিও, টেলিভিশন চ্যানেল আছে যেগুলো বেশ প্রভাবশালী।

নিউজকর্প ছাড়াও কিছু বড় প্রভাবশালী সংগঠন রয়েছে: যেমন সেভেন ওয়েস্ট মিডিয়া, যেটি অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল ইক্যুইটি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং এএসএক্সে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি। এছাড়াও, নাইন এন্টারটেইনমেন্ট, যেটি পাবলিশিং অ্যান্ড ব্রডকাস্টিং লিমিটেড (পিবিএল) এবং ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়ার একীভূত প্রতিষ্ঠান। প্রাক্তন এই কোম্পানি দুটি প্যাকার এবং ফেয়ারফ্যাক্স পরিবার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

পাবলিক মিডিয়া অ্যালায়েন্সের সিইও ক্রিস্টিয়ান পোর্টার বলেছেন যে ব্যক্তিগত মালিকানার সমস্যা হল যে এদের সম্পাদকীয় নীতি হঠাৎ করেই পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে ।

সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর এবং দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করার জন্য গণমাধ্যমের বৈচিত্র্য অত্যাবশ্যক।

মি. পোর্টার বলছেন, "একটি বিষয় বেশ বিপজ্জনক হতে পারে যখন এক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অনেকগুলি মিডিয়া সংস্থার একচেটিয়া মালিকানা থাকে। এবং তখনই পাবলিক ব্রডকাস্টারদের ভূমিকার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য জনগণের পক্ষে নিরপেক্ষ, বিশ্বস্ত কণ্ঠস্বর ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের জন্য এবিসি এবং এসবিএস-এর মতো সংস্থাগুলো কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সেই প্রশ্নটিও চলে আসে।

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share