সামর্থ্যের মধ্যে আবাসন দরকার লক্ষ লক্ষ অস্ট্রেলিয়ান পরিবারের

Australian Council of Social Service chief executive Dr Cassandra Goldie.

Australian Council of Social Service chief executive Dr Cassandra Goldie. Source: SBS

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে, দেশটি একটি “হাউজিং পিনসার মুভমেন্ট” বা তীব্র আবাসন সমস্যার কবলে পড়েছে। ঘরবাড়ির মূল্য ও বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় সংগ্রাম করছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের পরিবারগুলো। আবাসন খাতে করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীর কী রকম অভিঘাত পড়েছে — তা নিয়ে এই প্রথম বড় ধরনের একটি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অফ সোশাল সার্ভিসেস দেখতে পেয়েছে যে, সামর্থ্যের মধ্যে থাকা আবাসনের তীব্র সঙ্কট রয়েছে।


কিগান নিকোট্রা সিকিউরিটি জব করতেন। বেশ ভালই ছিলেন। এরপর শুরু হলো করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী।

এখন ঘর ভাড়া দেওয়ার জন্য তাকে দৈনন্দিন সংগ্রামে লিপ্ত হতে হচ্ছে।

অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করেন তিনি।
২৯ বছর বয়সী কিগান একাই এ অবস্থায় নেই। নতুন একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীর কারণে সামর্থ্যের মধ্যে থাকা আবাসনের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রফেসর হ্যার পওসন এই সমীক্ষাটির অথর। তিনি বলেন, গত এক বছরে ভাড়া অনেক বেড়েছে।

বিগত ১৩ বছরের মাঝে এটাই ছিল সবচেয়ে বেশি ভাড়া বৃদ্ধির ঘটনা।

গত বছর ২২ শতাংশেরও বেশি ভাড়া বেড়েছে। রিজিওনাল অস্ট্রেলিয়ায় এবং সিডনি ও মেলবোর্নের প্রান্তিক এলাকাগুলোয় যারা বসবাস করেন, মূলত তাদের ওপরেই এই ভাড়া বৃদ্ধির আঘাত লেগেছে।

কমপক্ষে ২০,০০০ নতুন সোশাল হাউজিং-এর ব্যবস্থার জন্য অর্থায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে এই রিপোর্টটিতে। আরও বলা হয়েছে, নিম্ন-আয়ের পরিবারগুলোর জন্য রেন্টাল অ্যাসিস্ট্যান্স পেমেন্ট ৫০ শতাংশ বাড়ানোর জন্য। এছাড়া, ভাড়ার সামর্থ্যের মধ্যে থাকা আরও বাড়ি-ঘর নির্মাণের জন্য নতুন করে বিনিয়োগ করার সুপারিশও করা হয়েছে।

স্যালভেশন আর্মির ক্যাপ্টেন স্টুয়ার্ট গ্লোভার বলেন, এক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অফ সোশাল সার্ভিসের চিফ একজিকিউটিভ ড. ক্যাসান্ড্রা গোল্ডি মনে করেন, দেশ জুড়ে ৪০০,০০০ পরিবার এখন তীব্র আবাসন সঙ্কটে ভুগছেন। তারা তাদের সামর্থ্যের মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারছেন না।

এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন ফেডারাল হাউজিং মিনিস্টার মাইকেল সুকার। তিনি বলেন, বছরে ৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে মানুষ যেন রাস্তায় না ঘুমায় এবং তারা যেন তাদের সামর্থ্যের মাঝে আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারে।

তার মতে, সামাজিক গৃহায়ন ও গৃহহীনতার সমস্যাগুলো সমাধানের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো স্টেট ও টেরিটোরি সরকারগুলোর।

প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share