বাংলা স্কুলের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশকেই পরবর্তী প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করতে চাই: মোহাম্মদ তারিক

Bangladeshi Community in Adelaide

এডিলেইড সিটির উত্তরে বাংলাদেশী কমিউনিটি স্কুলের কার্যক্রম শুরু Source: সাউথ অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশী কমিউনিটি এসোসিয়েশন

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

সাউথ অস্ট্রেলিয়ার এডিলেইড সিটির উত্তরে বাংলাদেশী কমিউনিটি স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্কুলটির উদ্যোক্তা সাউথ অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশী কমিউনিটি এসোসিয়েশন (SABCA)। সাবকার চেয়ারপারসন মোহাম্মদ তারিক জানান, বিদেশের মাটিতে বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠা অস্ট্রেলিয়ার মাল্টিকালচারাল সমাজেরই প্রতিফলন।


সাবকা পরিচালিত এটি তাদের দ্বিতীয় স্কুল। এডিলেইড সিটিতে তারা আরও একটি স্কুল পরিচালনা করে থাকে। যেহেতু বাংলাদেশী পরিবারগুলোর বাস উত্তরের এলাকাতেই বেশি তাই এটা অনেক দিনের প্রত্যাশা ছিল একটা বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠার।

সাবকার চেয়ারপারসন মোহাম্মদ তারিক জানান, "বিদেশের মাটিতে বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠা অস্ট্রেলিয়ার মাল্টিকালচারাল সমাজেরই প্রতিফলন। সাউথ অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশী কমুনিটির আকার আগের চেয়ে ক্রমশঃ বাড়ছে। তাই আমরা চাই আমাদের কৃষ্টি এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে যাতে বেঁচে থাকে। আর এ উদ্দেশ্যেই বাংলা স্কুলের প্রতিষ্ঠা।"
Bangladeshi Community in Adelaide
সাবকার চেয়ারপারসন মোহাম্মদ তারিক Source: Supplied
এ এলাকায় বাংলা স্কুলটিকে তারা অনেকটা কমিউনিটি হাব হিসেবে বিবেচনা করেন।

"আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বাংলা স্কুলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে এবং বাংলা বর্ণমালা পড়তে এন্ড লিখতে শিখবে।"
মিঃ তারিক জানান, তাদের সংগঠন ছাড়াও আরো তিনটি বাংলা স্কুল এডিলেডে আছে।

"কিন্তু বাংলাদেশের কমুনিটির একটা বড়ো অংশ নর্থের দিকে থাকে, তাই এটা ছিল একটা সময়ের দাবি, এই অঞ্চলে একটা বাংলাভাষাভাষীদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা।"

বাংলা শেখার জন্য শিক্ষার্থীরা বেশ আগ্রহী বলে জানান মিঃ তারিক। তিনি বলেন, শিশুদের অভিভাবকরাও নিজ সন্তানদের মাতৃভাষা শেখাতে বেশ আগ্রহী এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত ইতিবাচক।
Bangladeshi Community
অভিভাবকরাও নিজ সন্তানদের মাতৃভাষা শেখাতে বেশ আগ্রহী Source: সাউথ অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশী কমিউনিটি এসোসিয়েশন
"পিতামাতারা স্ব-উদ্যোগে বাচ্চাদের নিয়ে আসেন। নিজেরাই অর্থ এবং শ্রম দিয়ে স্কুলটিকে সহায়তা করছেন।"

তবে স্কুল পরিচালনার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও আছে বলে জানান তিনি।

"প্রথমেই যে চ্যালেঞ্জটা ছিল তা হচ্ছে একটা ভেন্যু পাওয়া, কারণ অন্তত তাদের দুতিনটি ক্লাসরুম এবং অন্যান্য সুবিধা প্রয়োজন, তবে সেই সমস্যাটির সমাধান হয়েছে। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আর্থিক, এটিও পিতামাতারা নিজেদের উদ্যোগেই চালিয়ে নিচ্ছেন।"

তাদের সংগঠন স্কুল কার্যক্রম ছাড়া অন্নান্য ইভেন্টও পরিচালনা করে থাকে, যেমন বাংলাদেশের জাতীয় দিবসসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মাল্টিকালচারাল ইভেন্ট থাকে যেখানে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে।

"আসলে আমরা শুধু বাংলাভাষাই নয়, পুরো বাংলাদেশকেই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করতে চাই।"

প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী অভিবাসীদের মধ্যে যে নিঃসঙ্গতা কাজ করে, বাংলা স্কুলের মাধ্যমে সামাজিকতা, আন্ত:যোগাযোগের মাধ্যমে তার অনেকটাই  লাঘব করা যায় বলে অনেকেই বাংলা স্কুলে আসতে ভালোবাসেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মোহাম্মদ তারিক।

মোহাম্মদ তারিকের পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন

Follow us on

Share